উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে ‘বহিষ্কার’

ই-বার্তা ডেস্ক।।  আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করবে না সেটা আগেই জানানো হয়েছে। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলের কেউ নির্বাচনে  অংশ নিলে তাদের বিরুদ্ধে ‘শোকজ’ বা ‘বহিষ্কারের’ চিন্তা-ভাবনা করছে দলের হাইকমান্ড।  স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যারা মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তাদের নামের তালিকা পাঠাতে তৃণমূলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।   

প্রথম ধাপে ৮৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ১০ মার্চ। প্রথম ধাপের ১৮টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির নেতারা।  প্রায় অর্ধেক উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যানে পদে প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় নেতারা।  এ তিন পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। 

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গণমাধ্যমকে বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি।  আগের রাতেই ভোট হয়ে গেছে। মানুষ ভোট দিতে না পারলে, সেই প্রহসনের নির্বাচন করে লাভ নেই।  ফলে এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।  ব্যক্তিস্বাধীনতা সবার আছে।  কেউ যদি স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করেন তাহলে দল থেকে পদত্যাগ করে করতে পারেন। 

গত ২৪ জানুয়ারি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবেন না।

জানা যায়, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভরপুর, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ, নাটোর সদর, রাজশাহীর বাঘা, বাগমারা ও পুঠিয়া, হবিগঞ্জের বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, চুনারুঘাট ও মাধবপুর, নেত্রকোনার পূর্বধলা এবং পঞ্চগড় সদর, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিএনপির স্থানীয় নেতারা।

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বমিটির সদস্য ও জেলার সহ-সভাপতি মঞ্জুর উদ্দিন, আজমিরীগঞ্জে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক খালেদুর রশিদ, চুনারুঘাটে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান, মাধবপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ শাহজাহান এবং নেত্রকোনার পূর্বধলায় প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির সহসভাপতি সাইদুর রহমান। 

ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু