এবার চীনের চেংদু কনস্যুলেট ছাড়ছেন মার্কিন কূটনীতিকরা

কনস্যুলেট বন্ধ করতে বেইজিংয়ের নির্দেশের ডেটলাইন পার হওয়ার আগেই চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চেংদু কনস্যুলেট ছাড়তে শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চেংদুর কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল বেইজিং।

বিবিসি জানায়, সোমবার সকালের আগে এই কনস্যুলেট খালি করার কথা। এর আগ আগে সেখানকার কর্মীদের ফাইলের বক্স এবং আবর্জনার স্তূপ বহন করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

স্থানীয় মানুষজন কনস্যুলেটের বাইরে জড়ো হয়ে চীনের পতাকা নাড়াচ্ছেন এবং সেলফি তুলছেন।চীন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ‘চুরি’ করছিল, এই অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র হিউস্টনের কনস্যুলেট বন্ধ করা নির্দেশ দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।

কনস্যুলেট খালি করতে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা পার হওয়ার সময়সীমা শেষ হয় গত শুক্রবার। এরপর রিপোর্টারদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ভবনের দরজা ভেঙে সেখানে প্রবেশ করেন।

প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশের মাধ্যমে সেটা আরও জটিল আকার নেয়।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, মার্কিন কনস্যুলেট থেকে ট্রাক বেরিয়ে যাচ্ছে এবং কর্মীরা ভবন থেকে কূটনীতিক প্রতীকগুলো সরিয়ে ফেলছে।

ভবনের বাইরে অনেক পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে যারা দর্শনার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং যেকোনো ধরনের উস্কানি ঠেকাতে চেষ্টা করছে।তবে বার্তা সংস্থা-এএফপি জানায়, একটি বাস বেরিয়ে যাওয়ার সময় ব্যঙ্গাত্মক শব্দ ছুড়ে দেয় সেখানে জমায়েত ব্যক্তিরা।

হিউস্টন থেকে যখন চীনের কূটনীতিকরা কনস্যুলেট খালি করে চলে যাচ্ছিলেন, সেখানেও জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরাও তাদের নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন।গত ১৯৮৫ সালে চেংদুর এই কনস্যুলেটটি স্থাপিত হয়েছিল, যেখান থেকে তিব্বতসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করা হতো। এই কনসুলেটে দুইশ’র বেশি স্থানীয় কর্মী কাজ করতেন।

এই কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়ার পর বেইজিংয়ে দূতাবাসের বাইরে মেইনল্যান্ড চীনে যুক্তরাষ্ট্রের চারটি কনস্যুলেট থাকছে। পাশাপাশি হংকংয়েও একটি কনস্যুলেট রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রেরও ওয়াশিংটনে দূতাবাসের পাশাপাশি চীনের আরও চারটি কনস্যুলেট রয়েছে।