খনি ধসে ব্রাজিলে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই

ই-বার্তা ডেস্ক।।    ব্রাজিলের মিনাস জিরাইস রাজ্যের ব্রুমাদিনহোর বেলো হরিজনতো শহরে বিস্ফোরণ থেকে ‘মিনা ফিইজো’ খনিতে শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় বাঁধ ধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা।

যারা নিখোঁজ ছিলেন বলে আগে বলা হয়েছিল, তাদের সবাইকে নিহত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) পর্যন্ত ১১০ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত ছিল। আর নিখোঁজ ছিলেন ২৩৮ জন। শুক্রবার দিনগত রাতে এসে ধারণা করা হচ্ছে, ওই নিখোঁজ ব্যক্তিরাও নিহত হয়েছেন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত আর কাউকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফলে যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের জীবিত থাকার আশা ক্ষীণ।

ভ্যালি কোম্পানির মালিকানাধীন এই খনি ধসের ঘটনায় ইতিমধ্যে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনই কোম্পানিটির কর্মকর্তা, যারা পরিবেশগত ছাড়পত্র নেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন।

ভ্যালি পৃথিবীর লৌহ এবং নিকেল উৎপাদনকারী বৃহত্তর একটি কোম্পানি। ধসের পর কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। বাঁধের চাপ নিয়ন্ত্রণে যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছিল, তাতে কোনো ত্রুটি ছিল না।

এদিকে কোম্পানির প্রেসিডেন্ট ফেবিও এস. বলেছেন, দুর্ঘটনাটি হয়তো এতো দ্রুততার সঙ্গে ঘটে যে সতর্কীকরণ ঘণ্টা স্বয়ংক্রিয় হওয়ার সময় দেয়নি।

দুর্ঘটনার কারণে আশেপাশের এলাকায় ১২ মিলিয়ন কিউবিক মিটার কাদা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে কাদা সরিয়ে উদ্ধার কাজে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

উল্লেখ্য, তিন বছর আগে একই অঞ্চলে এ ধরনের অপর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনায় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়। ওই বাঁধের মালিকানায় ভ্যালি’র সঙ্গে যৌথভাবে ছিল বিএইচপি বিলিটন নামে একটি কোম্পানি।

ই-বার্তা/ মাহারুশ হাসান