নুসরাত হত্যা, আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ

ই-বার্তা।।   ফেনীর সোনাগাজীর শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানি ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ফেনীর সোনাগাজী থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পিবিআই।

তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, রুহুল আমিন আজ দিনের কোনো এক সময় আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে পারেন।

রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম। তারা বলেন, তদন্ত অনুসন্ধান ও তথ্য প্রমাণ নিয়ে এ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করবে সিআইডি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, তদন্তে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে ফেনীর এলাকাবাসী।

গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা।

গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে অধ্যক্ষ তার অফিসের পিয়ন নূরুল আমিনের মাধ্যমে ছাত্রীকে ডেকে নেন। পরীক্ষার আধঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ। পরে পরিবারের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি।

সেই মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় অধ্যক্ষের মুখোশধারী লোকজন গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।

আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যান।