পাঁচ বছরের মধ্যে সকল এমআরপি ই-পাসপোর্টে রূপান্তর করা হবেঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ই- বার্তা ডেস্ক।।   আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সকল এমআরপিকে ই-পাসপোর্টে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল।

তিনি আরো জানান, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এবং ই-পাসপোর্ট আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভ্রমণ দলিল। বাংলাদেশ বিশ্বে ১১৯তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেছে।

সোমবার বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান তিনি।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো মন্ত্রী জানান, এমআরপি এবং ই-পাসপোর্ট যুগপৎভাবে চলমান থাকবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকার তিনটি অফিস; ঢাকাস্থ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, উত্তরার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং যাত্রাবাড়ীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট চালু করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে ১৮ মাসের মধ্যে সকল বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসসমূহে ই-পাসপোর্ট চালু করা হবে।

সরকারি দলের দিদারুল আলমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, বর্তমানে সারাদেশের কারাগারে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি রয়েছে। বর্তমানে কারাগারের বন্দী ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার ৯৪৪ জন। কারাবন্দির সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৪ জন। কারাগারের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য সরকার নব-নির্মিত ৫টি কারাগারকে কারাগার-১ এবং পুরাতন কারাগারকে কারাগার-২ হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়াও নতুন কারাগার নির্মাণ এবং পুরাতন কারাগার সম্প্রসারণ/নতুন ভবন তৈরি করেও বন্দি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সদস্য মোছাঃ শামীমা আক্তার খানমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা, বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গীবাদের ধরণ ও কৌশল প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। জঙ্গি গোষ্ঠী বিভিন্ন সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা করলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সময়োপযোগী কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে বড় ধরণের নাশকতা ছাড়াই তা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।