ফসলি জমিতে খনন নিষিদ্ধ থাকলেও, আইন মানছে না ইটভাটা মালিক

ই-বার্তা ।।  মরণব্যাধি করোনার জরুরী অবস্থার মধ্যেও নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বামনকোলা-সাহাপুর গ্রামের তিনফসলী জমিগুলোতে চলছে পুকুর খনন। স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট সরকারের নিষেধ উপেক্ষা করে ফসলি জমি থেকে উর্বর মাটি ভেকু দিয়ে কেটে ব্যাবহার করছে বিভিন্ন ইট ভাটায়।

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যখন সবাইকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে, তখন সব নিষেধ অমাণ্য করে চলছে এই পুকুর খননের মহাযজ্ঞ। উপজেলার বামনকোলা থেকে সাহাপুর গ্রামের মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে পুকুরের কাটা মাটি ট্রলি ও ট্রাক্টরযোগে পাকা সড়ক নষ্ট করে বিভিন্ন ইটভাটায় পৌঁছে দিচ্ছে সিন্ডিকেটাররা।

ফসলি জমিতে পুকুর কাটার ফলে শুধু সেই জমিই নয়, নষ্ট হচ্ছে আশেপাশের তিন ফসলী জমিও। যে রাস্তাগুলো দিয়ে মাটি বহন করা হচ্ছে, সে রাস্তায় যানবাহন চলাতো দূরের কথা, হেটে চলতেই জীবন নাজেহাল স্থানীয় এলাকাবাসীর।

এ জরুরী অবস্থার মধ্যেও কেন চলছে পুকুর খনন জানতে চাইলে সাহাপুর-বামনকোলা গ্রামের মেম্বার মো. সালামত প্রমাণিক বলেন, আমি গত সপ্তাহে পুকুর খনন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। উপর মহল থেকে অনুমতি নিয়ে এসে আবার পুকুর খনন শুরু করেছি। আমি আর কি করব বলেন?

পুকুর খনন প্রসঙ্গে এলাকাবাসী জানান, জমি ও ইটভাটা মালিক, মাটি কাটা চক্রের সিন্ডিকেটের, স্থানীয় নেতা ও প্রশাসন সবার যোগসাজেশেই চলছে পুকুর খনন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তমাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুরুদাসপুরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন নিষিদ্ধ। প্রতি সপ্তাহে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পুরো উপজেলার কোথাও পুকুর খনন হচ্ছে কিনা নজরদারি করা হচ্ছে। আইন অমাণ্য করে কেউ পুকুর খনন করলে তাকে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।

 

ই-বার্তা/ মো. আখলাকুজ্জামান, নাটোর প্রতিনিধি