ফোন কল কেলেঙ্কারিতে এ বার নাম জড়াল কঙ্গনার

ই-বার্তা।। ফোন কল কেলেঙ্কারিতে এ বার নাম জড়াল কঙ্গনার । এর আগেই জ্যাকি শ্রফের স্ত্রী আয়েষা শ্রফের নাম উঠে এসেছে এই কেলেঙ্কারিতে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শুধু কঙ্গনা বা আয়েষাই নয়, এই বিতর্কে আরও বলিউডি সেলিব্রিটির নাম প্রকাশ্যে আসতে পারে। এই কেলেঙ্কারিতে নিজের নাম উঠে আসতে মুখ খুলেছেন কঙ্গনা। তিনি জানিয়েছেন, কোনও কিছু ভেবে নেওয়ার আগে ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।

কঙ্গনার সঙ্গে হৃতিক রোশনের সম্পর্ক নিয়ে ইতিমধ্যেই কম জলঘোলা হয়নি বলিউডে। এ বার ফোন কল কেলেঙ্কারিতে ফের এক বার উঠে এল তাঁদের নাম।

কঙ্গনা কি হৃতিক রোশনের কল রেকর্ডিং কোনও ভাবে ফাঁস করে দিয়েছিলেন? প্রশ্নটা উঠছে, কারণ, এই কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে ঠাণে ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকেরা জানতে পেরেছেন, হৃতিক রোশনের নাম-মোবাইল নম্বর এসএমএস করে আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকির সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন কঙ্গনা।

তবে বুধবার এক বিবৃতিতে কঙ্গনা বলেন, “আইনি নোটিসের উত্তর দিতে হলে নিজের আইনজীবীর সঙ্গে আমাদের সমস্ত ডিটেলসই শেয়ার করতে হয়।”

এখনও পর্যন্ত এই কেলেঙ্কারিতে ১২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ঠাণের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এর মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি।

বেআইনি ভাবে ফোন কলের রেকর্ডিং বার করার অভিযোগে ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছিল ঠাণে পুলিশ।

তার আগে প্রশান্ত পালেকর নামে এক বেসরকারি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ধরা পড়েন। প্রশান্তকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় উঠে আসে রিজওয়ানের নাম।

পুলিশি জেরার মুখে পালেকর জানান, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির স্ত্রী অঞ্জলি সিদ্দিকির ফোন কলের রেকর্ড বার করে আনতে ওই আইনজীবীকে সাহায্য করেছিলেন তিনি।

 তদন্তে উঠে আসে জ্যাকি শ্রফের স্ত্রী আয়েষা শ্রফের নামও। আয়েষার অভিযোগ, তাঁর ব্যবসার অংশীদার সাহিল খান তাঁর কাছ থেকে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই নিয়ে আইনি লড়াইও চলছে তাঁদের মধ্যে।

আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকির কাছেও সাহিল খানের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের রেকর্ড ফাঁস করেছিলেন আয়েষা। এমনটাই দাবি ঠাণের তদন্তকারী আধিকারিকদের।