বাংলাদেশের পাশে থাকবে তুরস্ক

ই-বার্তা ।।  যে কোনো সহযোগিতায় বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়ালদিরিম।

এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান বিনালি ইয়ালদিরিম।

মঙ্গলবার বিকালে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।

ইয়ালদিরিম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এলে শেখ হাসিনা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে বৈঠকে বসেন দুই প্রধানমন্ত্রী।পরে চামেলী হলে দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়।

এ বৈঠকে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক হয়েছে বাংলাদেশের এসএমই ফাউন্ডেশন এবং তুরস্কের এসএমই ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের মধ্যে।

অন্যটি হয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এবং টার্কিশ স্ট্যান্ডার্ডর্স ইনস্টিটিউশনের মধ্যে।

এছাড়া রোহিঙ্গা সঙ্কট, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

এর আগে সকালে বিনালি ইয়ালদিরিম সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সেখান থেকে আসার পথে তিনি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি ক্যান্সার ইউনিট উদ্বোধন করেন।

এরপর ধানমণ্ডিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি তুর্কি প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানান।

এ ছাড়া তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী সফরকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

তিন দিনের সফরে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছান বিনালি ইয়ালদিরিম। একটি বিশেষ বিমানযোগে তিনি ঢাকায় পৌঁছলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তাকে হযরত শাহজালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।

রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিন দেখার পাশাপাশি এ বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এ সফরে এসেছেন।

আগামী বুধবার তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার গিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তুরস্ক ১ লাখ ২৫ হাজার আবাসনের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ব্যবস্থা করবে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্চার রয়েছে তুরস্ক। এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের স্ত্রী বাংলাদেশ সফর করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।