ভারত-পাকিস্তান সঙ্কট সমাধানে এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র
ই-বার্তা ডেস্ক।। ভারতীয় বিমান বাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার পরেই দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণুশক্তিধর দুই দেশের সমাধানের এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের সাবেক এক কর্মকর্তা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী হামলায় ভারতীয় একটি আধাসামরিক বাহিনীর ৪৪ জওয়ান নিহত হয়েছেন। তখন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেন, ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারে ওয়াশিংটনের সমর্থন আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের খবরের পত্রিকা দ্য হিলে তিনি লিখেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ভারত-পাকিস্তানকে সংযম অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন এবং যেকোনো উত্তেজনা কমিয়ে আনতে বলেছেন।
পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েক জন আইনপ্রণেতা বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। মার্কিন কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এলিওট এল. এনজেল বলেন, উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে ভারতে ফেরত পাঠানো সংঘাতের অবসানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এর আগে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসার আগে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলট অভিনন্দন বলেছেন, ভারতীয় গণমাধ্যম সবসময় অতিরিক্ত রঙ মেখে খবর প্রচার করে। তারা তুচ্ছ বিয়ষকেও মারাত্মক হিংসাত্মকভাবে বর্ণনা করে। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তানি গুলিতে ভূপাতিত ভারতীয় বিমানের পাইলটকে ছেড়ে দেয়ার আগে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
ভিডিওতে ভারতীয় এই উইং কমান্ডার বলেন, আমি ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন। আমি ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমানের পাইলট। আমি একটি লক্ষ্যবস্তু খুঁজতে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করেছিলাম। কিন্তু পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর গুলিতে আমার বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিমান থেকে আমি বের হয়ে আসতে পেরেছিলাম। যখন আমি বিমান থেকে বের হই এবং প্যারস্যুট দিয়ে মাটিতে নামি।
তিনি বলেন, ‘সেখানে অনেক লোক জড়ো ছিল। নিজেকে বাঁচাতে কেবল একটি উপায় ছিল আমার। আমি পিস্তুল ফেলে রেখে দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করি।’
তিনি বলেন, লোকজন আমাকে তাড়া করেন। তারা খুবই আবেগ আপ্লুত ছিলেন। তখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তা এসে আমাকে রক্ষা করেন। এরপর তারা আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে পাঠান। ‘হাসপাতালে আরও কয়েকটি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে। তারা আমাকে আরও সহায়তা করেন।’
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু