ভোটের দিন রাজধানীতে প্রাইভেট কার চলবে না: ইসি সচিব

ই- বার্তা ডেস্ক।। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রাইভেট কার না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

তাই অন্যান্য যানবাহনের মতো ভোটের আগে ও পরে ১৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে প্রাইভেট কার। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন। ৩১ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টা থেকে ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।

এতে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম এবং অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‌্যাব/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও ঢাকার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ইসি সচিব বলেন, তারা আমাদের সবগুলো প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন। তবে ভোটারদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে চলাচলের বিষয়ে যে প্রস্তাব ছিল সে বিষয়ে তারা বলেছেন, ঢাকায় ২ থেকে ৩ লাখ ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে।গোয়েন্দাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে ঢাকার দুই সিটিতে শুধুমাত্র ১৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া তাদের কাছে এ ধরনের রিপোর্ট নাই যে, এখানে খারাপ কিছু হতে পারে।

একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন কিছু হতে পারে তার রিপোর্টও তাদের কাছে নেই। সব সময়ই তারা সতর্ক আছেন, কোনো সমস্যা থাকলে তারা ব্যবস্থা নেবেন।ট্রাফিক পুলিশ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবে বিধায় তারা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। ফলে যারা নির্বাচনের যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের সমস্যা হবে এবং যারা বিভিন্ন স্থান থেকে চলাচল করবেন তাদেরও সমস্যা মুখোমুখি হতে হবে।

এতে তারা দ্বিমত পোষণ করেছেন। কমিশন সেটা মেনে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৪০ হাজার সদস্য ভোটে মাঠে থাকবে। কেন্দ্রভিত্তিক সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র্যাব ও বিজিবি সদস্য থাকবেন।

কেন্দ্রে সংখ্যা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ইসি সচিব বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। এক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৫ নম্বর নিয়ে ভোটের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা হয়তো শতভাগ করতে পারিনি, ঢাকা উত্তরের যে অভিযোগটি এসেছে সেটার ক্ষেত্রেও সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছে এবং তিনি তাৎক্ষণিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ওসিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর একটিও না ঘটে, সে বিষয়েও বলা হয়েছে।