মেসেঞ্জারে প্রশ্ন পাঠাতে গিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী আটক

ই-বার্তা ডেস্ক।।   পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে প্রশ্ন বাইরে পাঠানোর সময় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

আটক শিক্ষার্থীর নাম রিফাদ উদ্দীন। সে মির্জাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অনিয়মিত ছাত্র।

একই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ওই কক্ষের তিন পর্যবেক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার প্রতিদিনের মতো হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সম্রাট খীসা ম্যাজিস্ট্রেসি দায়িত্ব পালনের সময় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার কাটিরহাট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে যান।

পরিদর্শনের সময় ওই কেন্দ্রের ৩৪ নম্বর কক্ষে অনিয়মিত ছাত্ররা ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিচ্ছিল। এ সময় ওই কক্ষে রিফাদ উদ্দীন প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বাইরে পাঠানোর সময় ম্যাজিস্টেটরা তাকে হাতেনাতে আটক করেন।

সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয় এবং ওই ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। এ সময় অন্য ছাত্রদের তল্লাশি করে আরও ৬টি ফোন জব্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে ইউএনও রুহুল আমীন জানান, আমি আর ভূমি সহকারী কমিশনার ওই কেন্দ্রে পরিদর্শনে যাই। এ সময় রিফাত উদ্দীন ডাটা চালু করে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে কাউকে পাঠানোর সময় তাকে আটক করি। ভাগ্যিস আমরা ওই মুহূর্তে কেন্দ্রে পৌঁছি। না হলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতো।

তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিক কক্ষের সবাইকে তল্লাশি করে ৬ পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তাদের কাছে প্রশ্নফাঁস কিংবা প্রশ্নের ছবি পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ৩ কক্ষ পরিদর্শক ছিপাতলী গাউছিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ইউসুফ আলি, গুমানমর্দ্দন ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আব্দুল জলিল ও ধলই গাউছিয়া মুনিরীয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. শফিউল আলমকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের সচিব ও কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মকসুদ আহমেদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান ইউএনও।

ই-বার্তা/ শফিকুল ইসলাম