যেন মানুষগুলো বাঁচতে পারে, তাই আমিও সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলাম

ই-বার্তা ডেস্ক ।।  মানুষগুলোর জীবন বাঁচাতে আমার মতো করে সাহায্য করছিলাম। সবাই সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছিল যেন মানুষগুলো বাঁচতে পারে। তাই আমিও সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলাম। শুক্রবার দুপুরে বনানীর সেই এফ আর টাওয়ারের সামনে এসেছিলো শিশু নাঈম।

কড়াইল বস্তিতে বাবা-মা ও এক বোনের সঙ্গে থাকে সে। স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে আগুনের খবর শুনে ছুটে আসে বনানীতে।

উৎসুক জনতার এতো কাণ্ডজ্ঞানহীনতার মধ্যেও একটি ছবি নজর কেড়েছে সকলের। এক শিশু ফায়ার সার্ভিসের ফাটা পাইপ দিয়ে বের হয়ে যাওয়া পানি আটকে রাখার চেষ্টা করছিলো। তার চোখেমুখে চরম উদ্বিগ্নতার ছাপ স্পষ্ট। দুইদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই ছবিটি।

নাঈম জানায়, তার বাবা রুহুল আমিন বনানীতে ডাব বিক্রি করেন। মা বাসা বাড়িতে কাজ করেন। আগুনের খবর শুনে বনানীতে ছুটে আসে সে। আসার পর ভিড় ঠেলে আগুন লাগা এফআর টাওয়ারের সামনে চলে আসে। এসে নিজ তাড়নাতেই রাস্তার পাশে পলিথিন নিয়ে ফায়ার সার্ভসের পাইপ ধরে অন্যদের সঙ্গে সহযোগিতার চেষ্টা করে।

নাঈম জানায়, আমি কোনো ভয় পাইনি, ওই সময় আল্লার কাছে সবাই দোয়া করছিল ভেতরের মানুষগুলা যেন বাঁচে। আমিও চাইছিলাম একটু সাহায্য করে যদি কাউকে বাঁচানো যায়।

ই-বার্তা /  তামান্না আলী প্রিয়া