যৌতুকলোভী স্বামীর নির্যাতনে কবরে ঠাই হলো তামান্নার

ই-বার্তা ডেস্ক: প্রেমের টানে মাত্র ছয় মাস আগে প্রতিবেশী সুমনের সাথে ঘর ছেড়ে তাকে বিয়ে করেছিলেন তামান্না। কিন্তু যৌতুকের করাল গ্রাসে সে ভালোবাসা নিভে গিয়ে জীবন দিতে হলো তামান্নার, ঠাই হলো কবরে।

শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় সুমন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালিয়ে যায়। ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের চাঁদহাট গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে। পরে খবর পেয়ে সেদিন রাতেই নগরকান্দা থানা পুলিশ তামান্নার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

জানা যায়, নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের চাঁদহাট গ্রামের মিলন মল্লিকের মেয়ে তামান্না (১৮) ছয় মাস আগে প্রেম করে প্রতিবেশী নুর ইসলাম মোল্যার ছেলে সুমনকে (২০) বিয়ে করেন।

বিয়ের পর থেকে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। ঝগড়ার জের ধরে মাঝেমধ্যে তামান্নাকে মারধর করতেন স্বামী সুমন। সেই সঙ্গে স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করতেন। তামান্না যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে মারধর করতেন স্বামী।

এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় তামান্নাকে হত্যা করে পালিয়ে যান সুমন ও তার পরিবারের সদস্যরা।

তামান্নার বাবা মিলন মল্লিক বলেন, আমাদের অজান্তে বিয়ে করেছিল ওরা। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য মেয়েকে মারধর করত সুমন। আমি গরিব মানুষ, ভ্যানগাড়ি চালিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাই। যৌতুক দিতে না পারায় আমার মেয়েকে ওরা মেরে ফেলেছে।

নগরকান্দা থানা পুলিশের এসআই রবিউল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে সেদিন রাতেই ওই বাড়িতে যাই। বাড়ির উঠানের মধ্যে মেয়েটির মরদেহ পড়ে ছিল। তবে এসময় মেয়েটির শ্বশুরবাড়ির কোনো সদস্যকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে নগরকান্দা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মিরাজ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মেয়ের বাবা মিলন মল্লিক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ই-বার্তা// আরাফাত ইসলাম শুভ