‘রাজধানীতে ৬৮ শতাংশ মানুষ শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত’

ই- বার্তা ডেস্ক।।   রাজধানী ঢাকায় ৭১ শতাংশ মানুষ বিষন্নতায় ভুগছে। আর ৬৮ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত।

সোমবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্ষিক গবেষণা সম্মেলন-২০২০-এর সমাপনী অধিবেশনে এসব তথ্য তুলে ধরেন গবেষণাটির প্রধান গবেষক জুলফিকার আলী।

গবেষণায় বলা হয়, রাজধানী ঢাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আয়ের বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। ধনী-গরিবের আয়ের এই বিপুল বৈষম্য প্রভাব ফেলছে রাজধানীবাসীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর। ঢাকা শহরের মানুষের মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বায়ুদূষণ।

‘অ্যাটমোসফেয়ারিক পার্টিকুলেট ম্যাটার অ্যান্ড ব্ল্যাক কার্বন ইন ঢাকা সিটি এ কন্ট্রিবিউটর টু ক্লাইমেট চেঞ্জ’ শীর্ষক অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় বছরে যেসব মানুষ মারা যায় তার মধ্যে বায়ুদূষণজনিত অসংক্রামক রোগে মারা যাচ্ছে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ। এর মধ্যে শ্বাসকষ্টে মারা যায় ৮ শতাংশ, কিডনি রোগে ২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ফুসফুস রোগে মারা যাচ্ছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ।

আরও বলা হয়, ঢাকার বর্তমানে বায়ুতে ব্ল্যাক কার্বনের উপস্থিতি রয়েছে ৬৫ মাইক্রো গ্রাম কিউবিক মিটার। কিন্তু সহনীয় মাত্রার এ কার্বন থাকা প্রয়োজন ২৫ মাইক্রো গ্রাম কিউবিক মিটার। বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রত্যাশিত গড় আয়ু থেকে প্রায় ২২ মাসের বেশি কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে ভারতে কমেছে প্রায় ২০ মাস।

বেসরকারি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানসহ দেশের অর্থনীতিতে ৬ ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, সরকারি বিনিয়োগ কিছুটা হলেও বেসরকারি বিনিয়োগ রয়েছে স্থবির।
এ ছাড়া অন্য চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে- বৈষম্য বৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি না হওয়া, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষাকে কাজে লাগানো এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এখন থেকেই সঠিক নীতি ও পরিকল্পনা জরুরি।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) দুই দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা সম্মেলনের শেষ দিনের আলোচনায় তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সম্মেলনের একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ঢাকায় মাসিক মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০ শতাংশ মানুষের হাতে মোট আয়ের ৪১ দশমিক ১৯ শতাংশ।