হাসানের গুলিতে নিহত হন ডিবি ওসি জালাল

ই-বার্তা ডেস্ক ।।   মিরপুরের  পীরেরবাগ এলাকায় পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় সন্ত্রাসী মো. হাসান মাহমুদের (২৬) অস্ত্রের গুলিতেই ডিবি পরিদর্শক জালাল উদ্দিন নিহত হন।

 

ঘটনার রাতে সন্ত্রাসী হাসান বাসার ছাদে বন্ধু মানিককে নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিল। আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসার ছাদের ওপর থেকে দুটি গুলির শব্দ শুনতে পান হাসানের স্ত্রী তানিয়া বেগম। তাৎক্ষণিক দৌড়ে ছাদে গিয়ে স্বামী হাসানের হাতে অস্ত্র দেখতে পান।

বৃহস্পতিবার ডিবি পরিদর্শক জালাল উদ্দিন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সন্ত্রাসী হাসানের স্ত্রী তানিয়া বেগম আদালতে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই স্বীকারোক্তি দেন। ঢাকা মহানগর হাকিম মো. খুরশীদ আলম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আদালত সূত্র যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্বীকারোক্তি দেয়ার আগে মামলার নথিপত্র আদালতে এলে একই আদালত তা দেখে আগামী ৬ মে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন।

 

জবানবন্দিতে তানিয়া বলেন,

‘রাতে হাসানের বন্ধু মানিক আমাদের বাসায় আসেন। এরপর আমার স্বামীকে নিয়ে তিনি ছাদে আড্ডা মারতে থাকেন। আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরপর দুটি গুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপর দৌড়ে ছাদে গিয়ে দেখি আমার স্বামীর হাতে অস্ত্র। গুলি করার পরপরই হাসান ও তার বন্ধু মানিক বাড়ির ছাদের দক্ষিণ পাশের সানসেট দিয়ে পালিয়ে যান।’

 

আদালত সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি পুলিশ সার্জেন্ট মামুনুর রশিদ ও মো. সোহেল রানার দুটি অস্ত্র চুরি হয়। ওই অস্ত্র উদ্ধারে ১৯ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুর থানাধীন মধ্য পীরেরবাগ আবদুল খালেক রোডের ১০৫/১ নম্বর বাসাটি ডিবি পুলিশ চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইটপাটকেট নিক্ষেপ ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

 

এরপর ডিবির টিম সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে খবর দিলে মিরপুর থানার পুলিশও অভিযানে যোগ দেয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ বন্ধ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফের বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এরপর বাড়ির দক্ষিণ পাশের চিপা গলিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকা পুলিশ পরিদর্শক জালাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জালাল উদ্দিনের মাথায় দুটি গুলি লাগে।

 

এ ঘটনায় ডিবি পশ্চিম বিভাগ পল্লবী জোনাল টিমের এএসআই মো. শামীম আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ইন্সপেক্টর মো. ওয়াহিদুজ্জামান মামলাটি তদন্ত করছেন।

 

 

 

 

ই-বার্তা/ebarta247.com