একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বিকেলে

ই-বার্তা।।  একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ বিকেল ৩টায়। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিবেন। প্রথমবারের মতো টানা তৃতীয়বার সংসদ নেতার আসনে বসতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানা যায়, বুধবার বেলা ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন ও আলোচনা হবে। অধিবেশনের প্রথমদিনে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবন জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, ৩০ জানুয়ারি থেকে একাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রথমদিনে ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের পর অধিবেশন মুলতবি করা হবে। এরপর নতুন স্পিকার শপথ নিয়ে মুলতবি অধিবেশন শুরু করবেন। অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। ওই ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আগামীতে সংসদে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের নেতা শেখ হাসিনা এই সংসদে চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতার দায়িত্ব পালন করবেন। আর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বিরোধী দলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করবেন। গত ৩ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।

এই সংসদে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি, জাতীয় পার্টি ২২টি, ওয়ার্কার্স পার্টির তিনটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)’র দুইটি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর দুইটি, তরিকত ফেডারেশনের একটি, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু)’র একটি এবং স্বতন্ত্র সদস্যরা তিনটি আসন পেয়েছে।

বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আটজন সদস্য এখনও শপথ নেননি। আর এইদিকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া একটি আসনে আগামী মাসে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।