ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা বেড়েছে
ই-বার্তা ডেস্ক।। দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশি দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। গতকাল বুধবারও কাশ্মীর সীমান্তে দু’দেশের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই উত্তেজনার মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধের আশংকা করা হচ্ছে।
বিশেষ করে ভারতের একটি সাবমেরিন পাকিস্তান আটকে দেওয়ার কথা দাবি করেছে। এই ধরনের খবরে যুদ্ধের আশংকা বেড়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের একটি মিডিয়া। গবেষকরা জানিয়েছেন, পরমাণু অস্ত্রধর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলে অন্তত দুইশ’ কোটি মানুষের মৃত্যু ঘটবে।
এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট দেবেন্দ্র আনন্দ জানান, বুধবার ভোর থেকে গুলি ও মর্টার ছুঁড়ে পাকিস্তান সেনারা। ভারতীয় সেনারাও যোগ্য জবাব দিয়েছে। মঙ্গলবার নৌশেরা ও পুঞ্চের কৃষ্ণঘাঁটি লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
পাকিস্তান দাবি করেছে, সোমবার রাতে ভারতের একটি সাবমেরিন তাদের জলসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু তারা সফলভাবে সেটি আটকে দিতে সক্ষম হয়। তবে ভারত জানায়, পাকিস্তান নাটক সাজিয়েছে। এর কয়েকদিন আগে দুই দেশ একে অপরের যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু ভারতের এক পাইলটকে পাকিস্তান মুক্তি দেওয়ায় শান্তির আশা জেগেছিল। ৪ মার্চ সাবমেরিন ঘটনার পর ব্রিটেনের প্রভাবশালী মিডিয়া এক্সপ্রেস.ডট.ইউকে জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধও বেধে যেতে পারে। অ্যাক্সিওজ নামের ওয়েবসাইট বলছে, ভারতে সামনে লোকসভা নির্বাচন। আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অপরীক্ষিত। ফলে যুদ্ধের সম্ভাবনা আছে। বিশ্বে প্রভাবশালী দেশ এবং শান্তিপ্রিয় মানুষের মধ্যেও উদ্বেগ বাড়ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বক্তব্যে ফের হামলার ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, একবার হামলা করেই আমরা ক্ষান্ত হবো, এটা মনে করার যুক্তি নেই। সন্ত্রাস হলে প্রয়োজনে সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে হামলা চালাবো। এদিকে পাকিস্তানও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, হামলা হলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
১৯৪৭ সালে জন্মের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মির নিয়ে সংঘাত লেগে আছে। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি নতুন করে সংঘাত তৈরি হয়। ওই দিন ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪০ জনের বেশি ভারতীয় সেনা নিহত হন। ১৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান ভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জয়শ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু