নরসিংদীতে পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ-গুলি, আহত ১৫

ই- বার্তা ডেস্ক।।   নরসিংদীর পলাশে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বাগপাড়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় আহত হয়েছেন- পলাশ থানার এসআই মনির হোসেন, কনস্টেবল হারুন মিয়া, আবুল হোসেন, দৈনিক মুক্তখবর পত্রিকার স্থানীয় সাংবাদিক জুয়েল মিয়া, ঘোড়াশাল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোমেল মিয়া। এছাড়াও স্থানীয়দের মধ্যে আহত হন, সাখাওয়াত হোসেন, রাব্বি মিয়া, সোহেল মিয়া, এমায়েত হোসেন, মানছুর মিয়াসহ ১০ জন।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, দুপুরে বাগপাড়া গ্রামে অবস্থিত প্রাণ আরএফএল গ্রুপের একটি কাভার্ডভ্যান প্রতিষ্ঠানটির পাশে সড়কে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা পৌর এলাকার চরপাড়া গ্রামের রতন মিয়া, জসিম উদ্দিন ও রনি নামে তিন আরোহী গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত গ্রামবাসী দুর্ঘটনাস্থলের কাভার্ডভ্যান ও প্রাণ আরএফএল গ্রুপের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে প্রাণ আরএফএল গ্রুপ থেকে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। এতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হলে পুলিশ গ্রামবাসীকে লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন স্থানীয় এক সাংবাদিক।

পলাশ থানার ওসি মকবুল হোসেন মোল্লা জানান, পুরো বিষয়টি এখনও জানা হয়নি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে পরে জানানো হবে।

ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম