কখনও এভাবে কাঁদতে দেখা যায়নি ওয়ার্নারকে
ই-বার্তা।। বল টেম্পারিং কলঙ্কে এক বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন। এ সময়ে আর্থিকভাবেও বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হবে তাকে। তবু চারদিক থেকে আসা দুয়োধ্বনির স্রোত থামছে না। এতসব কি মেনে নেয়া যায়!
বল টেম্পারিংয়ের দায়ে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট যে শাস্তি পেয়েছেন সেটি বিরল। দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে অঝোরে কাঁদছেন স্টিভ স্মিথ। তবে ঘটনার পর প্রথমবারের মত সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে ওয়ার্নার জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে আর ‘খেলবেন না’।
আজ (শনিবার) সকালে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) সংবাদ সম্মেলনে অঝোরে কান্নাকাটি করেছেন ওয়ার্নার। চোখের পানিতে মুখ ভাসিয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠেই তিনি বলেন,
‘নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হয়ে গেলেও হয়তো অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে আর কখনো খেলা হবে না এমনটা জেনেই আমি সহ-অধিনায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।
আমার বিরুদ্ধে যতসব অভিযোগ সব স্বীকার করে নিয়েছি। আমি অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটভক্তদের কাছে ক্ষমা চাই, আমার এই ভুলের জন্য সকলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।’
দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার কারণে সতীর্থদের সাথে মাঠে খেলতে না পারাটা কষ্টের হলেও এখন ওয়ার্নারের মূল ভাবনা পরিবারকে নিয়ে,
‘সতীর্থদের আমি ভালবাসি ও সম্মান করি, তাদের সাথে মাঠে খেলতে না পারাটা হৃদয়বিদারক।
পরবর্তীতে কি হবে এখনই তা জানা কঠিন, তবে নিজের আমূল পরিবর্তনে অভিজ্ঞদের উপদেশ ও সাহায্য নেব। এখন আমার সর্বপ্রথম দায়িত্ব হচ্ছে পরিবারের ভাল থাকা নিশ্চিত করা।’
দুদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে নিজের অপরাধ স্বীকার করে কেঁদেছিলেন স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন বেনক্রফট।