সেমিফাইনালে উঠতে আজ জিততেই হবে বাংলাদেশকে
ই-বার্তা ডেস্ক।। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশের সেমিফাইনালের সমীকরণ কিছুটা সহজ করে দিয়েছে শ্রীলংকা। কিন্তু সমীকরণের প্রথম শর্ত হল, আজ জিততেই হবে বাংলাদেশকে। প্রতিপক্ষ যেহেতু আফগানিস্তান, বিকল্প ভাবনার কোনো সুযোগই নেই।
আফগান স্পিনের জুজুর ভয় আত্মবিশ্বাসী টাইগারদের মনে আতঙ্কের ছাপ ফেলতে পারেনি। প্রতিপক্ষের বোলিং শক্তির প্রতি সমীহ থাকলেও নেই ভয়। সতর্কতার বাতাবরণে অঘটন এড়িয়ে প্রত্যাশিত জয়ের ছবিই আঁকছেন মাশরাফিরা। ছয় ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের পর খেলতে হবে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে।
এদিকে চাপ এড়াতেই অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা বলেছেন, ‘অনেক কিছুই হতে পারে। তিনটি ম্যাচ যদি জিততে পারি, এরপর দেখা যাবে কী হয়। বেশি দূরে না তাকিয়ে এখন প্রতিটি ম্যাচ ধরে এগোতে হবে। সামনে যেহেতু আফগানিস্তান, আগে এই ম্যাচটা জিততে হবে। সেই সামর্থ্য আমাদের আছে। তবে আফগানিস্তানকে হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ওদের স্পিন আক্রমণ সামলানো যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হবে।’
তবে ভারতের বিপক্ষে দলের লড়াকু পারফরম্যান্সেই আশার আলো দেখছেন আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব, ‘ভারতের মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা দলকে হারানোর বড় সুযোগ হারিয়েছি আমরা। কিন্তু টুর্নামেন্টে বাজে শুরুর পর এখন আমরা দিনে দিনে আরও শানিত হচ্ছি। ভুল থেকে শিখছি। পরের ম্যাচে এই শিক্ষাটা কাজে লাগাতে চাই।’
দলের মূল তিন স্পিনার রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী ও মুজিব একেবারে নাকাল করে ছেড়েছিলেন ভারতের ব্যাটসম্যানদের। চার স্পিনারের ৩৪ ওভার থেকে ভারত তুলতে পেরেছিল মাত্র ১১৯ রান। ভারতের মতো শক্তিধর প্রতিপক্ষকে ২২৪ রানে বেঁধে ফেলা নিঃসন্দেহে বড় সাফল্য।
কিন্তু আসল চ্যালেঞ্জটা আফগান বোলিংয়ের চেয়ে নিজেদের বোলিং নিয়ে। এই বিশ্বকাপে প্রতি ম্যাচে গড়ে ৩২৯ রান হজম করেছে বাংলাদেশ! ছন্নছাড়া বোলিং দলের সবচেয়ে দুর্বল দিক। ব্যাটিংয়ে এখন পর্যন্ত সত্যিকারের ভরাডুবি ঘটেনি বাংলাদেশের।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু