আইডিয়াকে পণ্য বা সেবায় রূপান্তর করতে হবে: তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী

ই- বার্তা ডেস্ক।।   ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তরুণদের উদ্দেশ করে বলেছেন, বয়সের কোটা বাড়িয়ে চাকরি হবে না। বর্তমানে চাকরির যেসব ক্ষেত্র রয়েছে ভবিষ্যতে ৮০ ভাগ ক্ষেত্র বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সুতরাং পেশায় টিকে থাকতে হলে এবং উন্নত করতে হলে ডিজিটাল দক্ষতা থাকতে হবে। এত দিন শক্তিটা কায়িক শ্রমের ওপর নির্ভর থাকলেও তা এখন মেধার ওপর নির্ভরশীল।

আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ মিলনায়তনে ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ একাডেমি’ (আইডিয়া) প্রজেক্ট এবং তরুণদের প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলার যৌথ উদ্যোগে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ: চ্যাপ্টার ওয়ান’ এর ২ দিনব্যাপী আনুষ্ঠান উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, মেধাকে কাজে লাগাতে পারলে ভবিষ্যৎ পৃথিবী তোমাদের। কোনো কিছু শুরু করতে আইডিয়ার অভাব হয় না। তবে এসব আইডিয়া যেন জনগণের কল্যাণে হয় এবং এ থেকে যেন আয় হয়। অর্থাৎ আইডিয়াকে পণ্য বা সেবায় রূপান্তর করতে হবে।

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রযুক্তি দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ প্রথম ডিজিটাল ঘোষণাকারী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ছিল কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেছে কিন্তু চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মিস করেনি।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বিপ্লব ঘোষণা করেন। সেই হিসেবে বাংলাদেশ পৃথিবীর প্রথম ডিজিটাল ঘোষণাকারী দেশ। পৃথিবীর কোনো দেশের আগে নিজেদের ডিজিটাল ঘোষণা করেনি। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে কৃষিনির্ভর দেশ হতে গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ডিজিটালের ভিত রচনা করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)-এর নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম, আইডিয়া প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সৈয়দ মজিবুল হক, ইয়াং বাংলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন ক্রিয়েটিভিটি এবং এন্ট্রাপ্রেনারশিপ সেন্টার এর ভাইস চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সুপারনিউমারি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. রশিদুল হাসান, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের কর্মকর্তারা।

ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম