আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী মতায়ন

ই-বার্তা ডেস্ক ।।  আজ মাঠে নামছে সেনাবাহিনী। নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী মতায়ন করেছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী ভোট গ্রহণের আগে, ভোট গ্রহণের দিন ও পরে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)  জানিয়েছে রোববার বিকাল থেকে সেনারা অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌঁছাতে শুরু করেছে।

 

৩৮৯ উপজেলায় সেনাবাহিনী এবং ১৮ উপজেলায় নৌবাহিনী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কাজ করবে বলে জানাই আইএসপিআর। সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি টিমের সঙ্গে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এদিকে এ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে সেনাবাহিনী ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন রাজনীতিবিদরা।

 

রোববার রাত থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী এলাকার দিকে রওনা হয়েছেন। সোমবার থেকে সেনানিবাস থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্য আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে সশস্ত্র বাহিনী। যে ৬টি নির্বাচনী এলাকার সব ভোট কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে ভোট গ্রহণ করা হবে, সেখানে কর্মকর্তাদের কারিগরি সহায়তা দেবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। তবে তারা কোনো ধরনের গোলাবারুদ ব্যবহার করবেন না।

 

 ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আদলে এবারও-এর আওতায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন।

 

 নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ  সাংবাদিকদের ১৩ ডিসেম্বর সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের কথা জানান। ওইদিন তিনি বলেন, ‘ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৮ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য, ২২ ডিসেম্বর থেকে কোস্টগার্ড সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

 

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য দেশের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করবে না। ‘আশা করছি, সশস্ত্র বাহিনী জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিংবা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করবে না। সশস্ত্র বাহিনীর ওপর দেশ ও দেশের ইমেজ নির্ভর করে।’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে স্বাগত জানাই। আশা করছি, সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের ফলে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করবে যা এতদিন ছিল না।’

 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, সেনাবাহিনী নিয়োগের ফলে নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এতদিন এটি মোটেও বিদ্যমান ছিল না।’ নির্বাচনে সেনাবাহিনী শুধু টহল দিলেই চলবে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

 

 

 

ই-বার্তা / ডেস্ক