আসিফ নজরুলকে হত্যার হুমকি

ই-বার্তা ডেস্ক ।। বাংলাদেশের অন্যতম বুদ্ধিজীবী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন  বাপ্পাদিত্য বসু। বাপ্পাদিত্য বসু রাশেদ খান মেননের দলের ছাত্রসংগঠনের (ছাত্রমৈত্রী) প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন ।এই নিয়ে শনিবার (৫ মে) সকালে আসিফ নজরুল তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

 

ফেসবুকের পাতায় আসিফ নজরুল লিখেছেন-

‘আমাকে প্রকাশ্যে মারার ঘোষণা দিয়েছে রাশেদ খান মেননের দলের ছাত্রসংগঠনের (ছাত্রমৈত্রী) প্রাক্তন সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু। কোটাসংস্কার আন্দোলনের জের ধরে এর সংগে সংহতি জানানো ব্যক্তিদের ফেসবুকে কটুবাক্য করেছিলেন তিনি। এ’নিয়ে ফেসবুকে অন্যদের সংগে আলাপের এক পর্যায়ে আমার নাম উল্লেখ করে প্রকাশ্যে এই হুমকি দেয়া হয়।’তিনি আরেও লিখেছেন- ‘আমার অবাক লাগছে এটা ভেবে যে, কি অবলীলায় এদেশে এখন প্রকাশ্যে একজনকে মারার হুমকি দেয়া যায়!’

 

 

এছাড়া, গত ৯ এপ্রিল কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ-এ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

 

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন- ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা হওয়া উচিত ১ শতাংশ। ১৯৭২ সালের সংবিধানে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সম্পর্কে কিছু বলা নেই। এই সংবিধান প্রণীত হয়েছিল যে গণপরিষদে, সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা প্রদানের কথা উত্থাপিতই হয়নি। গণপরিষদে কেবল সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান প্রসঙ্গে পঙ্গু ও নিহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় (বাংলাদেশ গণপরিষদের বিতর্ক, দ্বিতীয় খণ্ড, ১৯৭২, পৃষ্ঠা ৪৭০-১)।

 

তিনি আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার উদার ব্যাখ্যা করলে শুধুমাত্র পঙ্গু বা নিহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের (শুধুমাত্র সন্তান) জন্য চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ বৈধ হতে পারে, অন্যদের জন্য নয়। জনসংখ্যার অনুপাতে এই কোটা হতে পারে বড়জোর ১ শতাংশ। বাকী ১৪ শতাংশ হতে পারে নারী, প্রতিবন্ধী আর ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। তবে কোটা কোনভাবেই মোট চাকরীর ১৫ শতাংশের বেশী হওয়া উচিত না। কোনভাবেই উচিত না কোটা পুরন না হলে পদ শুন্য রেখে দেয়া।

 

এর আগে ২০১৩ সালের ২৪ মে অজানা এক লোক মুঠোফোন থেকে তাঁকে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আসিফ নজরুল ওই দিন বিকেলে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।

 

সে সময় আসিফ নজরুল জানান, তাঁর মুঠোফোনে একটি কল আসে। মুঠোফোনে তাঁকে টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিতে নিষেধ করে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ‘সরকারের সমালোচনা করেন কেন?’ এর পর টক শোতে অংশ নিলে তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

 

 

 

ই-বার্তা/ডেস্ক