ইউনিকোডের সমস্যা সমাধানে আইক্যানের সমর্থন পেল বাংলাদেশ

ই-বার্তা ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক ডোমেইন ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রক সংস্থা-আইক্যান এর সাথে বৈঠকে ইউনিকোডে বাংলা ভাষার সমস্যা সমাধানে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর সঙ্গে স্পেনের বার্সেলোনায় সংস্থাটির প্রধানদের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে আইক্যান বাংলা ডোমেইন নাম ও ইউনিকোডের যুক্তাক্ষর লেখা সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছে। এর ফলে ইন্টারনেট ডোমেইনে যে সংকটটি ছিল তার দূর হওয়ার পথে বিরাট এক প্রতিবন্ধকতা দূর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বাংলা ভাষাকে তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলা ভাষায় যখন ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম হয়, তখন বাংলাদেশ থেকে কোনো মতামত না নেওয়ায় বাংলা ইউনিকোডে ত্রুটি রয়ে গেছে। বাংলা ভাষায় অস্তিত্ব নেই এমন অনেক অক্ষর ইউনিকোডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

বৈঠকে আইক্যান প্রেসিডেন্ট ও সিইও গোরান মারবাই আইক্যান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। আইক্যান চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ডেভিড কনার্ডসহ শীর্ষ কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে থাইল্যান্ডে ১৯৮৭ সালে অনুষ্ঠিত কনসোর্টিয়ামের সভায় মোস্তাফা জব্বার বাংলা ভাষার বিদ্যমান অক্ষরসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে ত্রুটি দূর করার দাবি জানান। অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হকসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ।

এ বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আরও জানান, আমাদের দু’তিনটা ইস্যু ছিল, যে জায়গাগুলোতে ইউনিকোডের সঙ্গে আমাদের সমস্যা। ‘ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম শুরু হয় ১৯৮৭ সালে। আমরা এই কনসোর্টিয়ামে ঢুকেছি ২০১০ সালে। ফলে এই ২৩ বছরে বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধিত্ব ছিল না। ফলে বাংলার যেসব ইস্যুগুলো ছিল তা সিরিয়াসলি আনঅ্যাড্রেস ছিল।

এসময় তিনি বলেন, ‘ড়, ঢ়, য় এবং ত্ বর্ণ আছে। কিন্তু হিন্দিতে নেই। যেহেতু আমরা ছিলাম না, সেই কারণে অন্যদেশের মতামত অনুসারে স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে দেবনাগরীতে নোক্তা বলে একটা জিনিস আছে, এই নোক্তা তাদের নানা কাজে লাগে, শব্দের নিচে ব্যবহ্ৃত হয়। আমরা নোক্তার যুগ থেকে সেই বিদ্যাসাগরের আমল হতে বেরিয়ে এসেছি এবং আমাদের ভাষায় নতুন চারটি অক্ষর যোগ করেছি। দেবনাগরী যেহেতু ফলো করা হয়েছে তাই আমাদের দাঁড়ি, ডাবল দাঁড়ি তাতে রয়ে গেছে। আর আমাদের ড়, ঢ়, য় লিখতে ওরা নোকতা ব্যবহার করে। আমাদের যে স্বরচিহ্নগুলো এগুলোকে আমরা কার চিহ্ন বলি আর ওরা বলে মাত্রা।’ 

ই-বার্তা// আরাফাত ইসলাম শুভ