‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জাতির কলংকময় ইতিহাস ও পেছনের কুশীলবরা

তখন মানবতা ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল। তখন বাংলা শোকে মুহ্যমান হয়েছিল। তখন সাথীদের খুনে রাঙা পথে পথে হায়েনার আনাগোনা শুরু হয়েছিল। এরপর খুনিদের প্রয়োজন হয়েছিল দায়মুক্তির। খুনিরা ও তাদের সহযোগীরা নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানের হত্যাকে আইনসিদ্ধ করতে চেয়েছিল।

মানব সভ্যতাকে কলঙ্কিত করেছিল খুনিরা এবং তাদের পৃষ্ঠেেপাষকরা সেসময়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী শাসকগোষ্ঠী। ক্ষমতা যখন কুক্ষিগত তখন তো কোন কিছুই অসম্ভব নয়। অতএব খুনিদের প্রয়োজনে জারি করা হয় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ।

স্টেজ ফর ইউথ আয়োজিত ‘ইনডেমনিটি’ অধ্যাদেশ এক কালো অধ্যায় শীর্ষক শিক্ষামূলক আলোচনা সভায় এই বক্ত্যব্য রাখেন প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও বিশেষ অতিথি সাইদুর রহমান হৃদয়, সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর।

তারা বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর ইতিহাসে কলঙ্কময় একটি দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর খুনিদের রক্ষার জন্য বাংলাদেশের সংবিধান জুড়ে এক অদ্ভুত কেলেঙ্কারির ইতিহাস রচিত হয়। প্রণীত হয় ইনডেমনিটি বিল।

ইনডেমনিটি হলো কোনো বিচারকার্যকে বাঁধা প্রদান সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বা আইন। কোনো অভিযান বা অভ্যুত্থানের ক্ষয়ক্ষতি আদালতের বহির্ভূত রাখার জন্য আইনসভা যে বিল পাস করে তাকেই ইনডেমনিটি বিল বলে। এই শব্দের অর্থ শাস্তি এড়াইবার ব্যবস্থা অর্থাৎ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ হলো সেই অধ্যাদেশ যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শাস্তি এড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিলো।