উত্তর কোরিয়ার থেকে চীনকে নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় জাপান

ই-বার্তা ডেস্ক।।  জাপানের বার্ষিক প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় সতর্ক করে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসী আচরণের চেয়েও চীনের বর্ধিষ্ণু সামরিক বাহিনী জাপানের জন্য বড়ো হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।   

গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই পর্যালোচনায় পিয়ংইয়ংয়ের হাতে পারমাণবিক ওয়ারহেডবাহী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক খাতে বেইজিংয়েরর ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ এবং চীন সাগরে নানামুখী তত্পরতাই দেশটিকে প্রথমবারের মতো টোকিওর প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্রে দ্বিতীয় স্থানে তুলে এনেছে।  

জাপানের সামরিক এই পর্যালোচনায় এখনো যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানই শীর্ষে; স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার ‘প্রধান হুমকি’ রাশিয়ার স্থান হয়েছে ৪ নম্বরে। ‘যুক্তরাষ্ট্র আর চীনই যে কেবল বিশ্ব জুড়ে তাদের প্রভাব প্রদর্শন করতে পারে, এই পর্যালোচনায় তা প্রতিফলিত হয়েছে।’ 

পর্যালোচনায় বেইজিংয়ের সামরিক আগ্রাসন ঠেকাতে গত সাত বছরে জাপানের প্রতিরক্ষা ব্যয় ১০ শতাংশের মতো বেড়েছে বলে জানানো হয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক ওয়ারহেডবাহী ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে টোকিও যেসব সরঞ্জাম কিনেছে, তা-ও ঐ ব্যয়ের মধ্যে—প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।

চীনের অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনীর তুলনায় এগিয়ে থাকতে জাপান এখন যুক্তরাষ্ট্রের বানানো স্টিলথ জঙ্গি বিমানসহ নানা ধরনের আধুনিক অস্ত্র কিনছে। এই স্টিলথ জঙ্গি বিমান, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী সরঞ্জাম এবং অন্যান্য অস্ত্র চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বর্ষে জাপানের রেকর্ড ৫ দশমিক ৩২ ট্রিলিয়ন ইয়েন প্রস্তাবিত সামরিক বাজেটের অংশ। 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু