এবার পেরেছে ইংল্যান্ড

ই-বার্তা।।  সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড মাত্র দুই মিনিট নিজেদের পোস্ট আগলে রাখতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকে ৪-৩ গোলে কলম্বিয়াকে হারিয়ে ২০০৬ বিশ্বকাপের পর আবার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেলো তারা।

হ্যারি কেইন ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু খেলাটি ইনজুরি সময়ে গড়ালে কলম্বিয়ার ইয়েরে মিনা ৯৩ মিনিটে গোল করে নাটকীয়ভাবে সমতা ফেরান। এরপর খেলাটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও আর কোন গোল হয়নি।

পরে টাইব্রেকে ইংল্যান্ড গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড বিপক্ষের একটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে ব্যবধান ৩-৩ রাখেন। এরিক ডায়ার এসে শেষ শটটি জালে পাঠালে জিতে যায় ৬৬’র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

কেইন এর আগে পেনাল্টি থেকে ঠান্ডা মাথায় গোলটি করে চলতি বিশ্বকাপের সর্বাধিক গোলদাতা হিসেবে নিজেকে ধরে রাখেন। কার্লোস সানচেজ বক্সে কেইনকে ফেলে দিলে রেফারি পেনাল্টির দেন। এ নিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে ছয় গোল করলেন  এই ফরোয়ার্ড।

ইংলিশ কোন ফুটবলারের সর্বশেষ এতগুলো গোল করার নজির ১৯৮৬’র বিশ্বকাপে। সেবার গ্যারি লিনেকার ছয় গোল করেছিলেন।

মস্কোর স্পার্টাক স্টেডিয়ামে বিরতি সময়ে দুদলের খেলাটি ছিল গোলশূণ্য। কোন দলই গোলের পরিষ্কার সুযোগ বের করতে পারেনি। যদিও কিছুটা প্রাধান্য ছিল কোচ গ্যারেথ সাউথ গেটের দলের। এই অর্ধে রাহিম স্টার্লিংকে অনেক তত্পর দেখালেও কেইন অতটা জ্বলে উঠতে পারেননি।

কলম্বিয়া তাদের তারকা স্ট্রাইকার হামেস রদ্রিগেজকে ছাড়াই খেলতে নামে। তারপরও তৃতীয়বারের মতো নকআউটে খেলতে আসা কলম্বিয়া সমানে পাল্লা দেয় ইংল্যান্ডের সাথে। যদিও কোচ হোসে প্যাকারম্যানের দলটি এবার গ্রুপ পর্ব থেকে অনেকটা খোড়াতে খোড়াতেই উঠে এলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি।

ইংল্যান্ড ২০০৬ বিশ্বকাপের পর আবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়েই কাল মাঠে নেমেছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে আগের আট খেলায় কেবল দুই জয়ের পরও শেষ হাসি হাসে কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের দল।