গত ১০ বছরে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়েনি

ই-বার্তা ডেস্ক।।  দেশে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে অনেক বেশি।  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতরের কলেবর অনেক বর্ধিত হয়েছে। এ সময় ১০ হাজারের বেশি চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে।  কিন্তু এরপরও স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়েনি।

ভুক্তভোগীরা জানান, সরকারি পর্যায়ে উপজেলা, জেলা বা বিশেষায়িত হাসপাতাল যেখানেই চিকিৎসার জন্য যাওয়া হোক না কেন, ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি হতে ভোগান্তি, ভর্তি হওয়ার পর শয্যা পেতে ভোগান্তি, শয্যা পাওয়ার পর সেবিকা ও চিকিৎসকের দেখা ও সেবা পেতে ভোগান্তি। এরপর বিনামূল্যের ওষুধ পেতে ভোগান্তি, পথ্য পেতে ভোগান্তি, এমনকি শেষ পর্যন্ত ছাড়পত্র পেতেও পোহাতে হয় ভোগান্তি। টাকা না দিলে পাওয়া যায় না স্ট্রেচার, হুইল চেয়ার এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ। 

মাত্র ১০০ টাকা না দিতে পারায় লাশ নামানোর স্ট্রেচার দেয়নি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চতুর্থ তলা থেকে মায়ের লাশ কাঁধে করে নামিয়েছেন ছেলে। ২১ মার্চ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। লালমনিরহাটের বাড়াইপাড়া গ্রামের এন্তাজ আলীর স্ত্রী বৃদ্ধ নছিরন অসুস্থ অবস্থায় আগের দিন বিকালে রংপুরে আসেন চিকিৎসা নিতে। চিকিৎসকরা জরুরি ভিত্তিতে তাকে রমেক হাসপাতালে ভর্তি করে দ্রুত অক্সিজেন দেয়ার পরামর্শ দেন। তাকে ভর্তি করা হলেও রাত ৩টা পর্যন্ত রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়নি। ভোরে মারা যান নছিরন। তার লাশ হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে নিচে নামাতে কর্মচারীদের অনুরোধ করলে তারা ১০০ টাকা দাবি করে। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় স্ট্রেচার পর্যন্ত দেয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত কাঁধে করে লাশ নিয়ে নিচে নামিয়ে আনে ছেলে শরিফুল। এ ধরনের ঘটনা একটি, দুটি বা তিনটিতে সীমাবদ্ধ নয়। দেশের প্রতিটি হাসপাতালে প্রতিদিনই এমন ঘটনা ঘটছে। 

আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে প্রতি বছর ৭ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা : সবার জন্য, সর্বত্র’।  বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো আমাদের দেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০১৯ উদযাপন করা হচ্ছে।

ই-বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ