‘টেন্ডারপ্রতি ৫ পার্সেন্ট কমিশন দিতে হতো মেননকে’

ই-বার্তা ডেস্ক।।  গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ঢাকা মহানগর যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।  বড় বড় টেন্ডারে প্রভাবশালী নেতাদের কী হারে কমিশন দিতে হতো সেই সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।  

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, খালেদ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, বড় বড় টেন্ডারে ভাগ বসাতেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও ঢাকার সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।  টেন্ডারপ্রতি ৫ পার্সেন্ট কমিশন দিতে হতো তাকে।

১৮ সেপ্টেম্বর ফকিরাপুলের ইয়ংম্যানস ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনোতে অভিযান চালানোর পর ক্যাসিনোকাণ্ডে সুবিধাভোগী হিসেবে রাশেদ খান মেননের নাম উঠে আসে। ইয়াংমেনস ক্লাবের চেয়ারম্যান পদে আছেন ঢাকার এই সংসদ সদস্য। আর এই ক্যাসিনোর মালিক ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা খালেদ।  

ইয়াংম্যানস ক্লাবে অভিযানের সময় ক্যাসিনো থেকে আর্থিক সুবিধাভোগীদের নামের একটি লম্বা লিস্ট উদ্ধার করে র‌্যাব। এ তালিকার ৫ নম্বরে নাম আছে রাশেদ খান মেননের। তার নামের পাশে লেখা আছে ১০ লাখ। অর্থাৎ ক্যাসিনো থেকে মাসে রাশেদ খান মেনন ১০ লাখ টাকা পেতেন। অবশ্য ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন রাশেদ খান মেনন এমপি। তিনি বারবারই গণমাধ্যমে বলছেন, ক্লাব পরিচালনার সঙ্গে জড়িত থাকলেও ক্যাসিনোর সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

সূত্র জানায়, রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ তথ্য প্রমাণ দিয়ে মেননের চাঁদাবাজির ফিরিস্তি তুলে ধরে। খালেদ জানান, সাবেক মন্ত্রী মেননকে বিভিন্ন টেন্ডার থেকেও টাকা পয়সা দিতে হত। বড় বড় অনেক ঠিকাদারি কাজের টেন্ডার পাওয়ার পর ৫ পার্সেন্ট হারেও কমিশন নিয়েছেন মেনন। প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা জিকে শামীমের সঙ্গে তার বিশেষ সখ্য গড়ে ওঠে।

আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসী থেকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে যুবলীগের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন রাশেদ খান মেনন। খালেদকে আরও বড় পদ-পদবি দেয়ার জন্য তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলে তদবির করেন।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু