দেশে প্রতিদিন পানিতে ডুবে মারা যায় ৪০ শিশু

ই- বার্তা ডেস্ক।।   দেশে প্রতিদিন ১৮ বছরের নিচে ৪০ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয় বাড়ির থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের পুকুরে এবং ১০ বছরের নিচে।

আর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে এসব শিশু মৃত্যুর ৬০ শতাংশ ঘটনা ঘটে থাকে।”

আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) ‘স্কেলিং আপ ড্রাউনিং প্রিভেনশন ইন্টারভেনশন্স ডায়ালগ উইথ মিডিয়া’ শীর্ষক এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান সংশ্লিষ্টরা। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘যদিও আমাদের দেশে এত মৃত্যুর পরও নানা কারণে পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে খুব বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। সেটা হতে পারে জনশক্তির অভাব বা প্রতিরোধমূলক আইনের অভাবে। একইসঙ্গে আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত জাতীয়ভাবে ড্রাউনিং প্রিভেনশন স্ট্রাটেজি আমাদের নেই।’

এই বিষয়ে অনুষ্ঠানে সিআইপিআরবির পরিচালক ড. আমিনুর রহমান জানান, বিশ্বের সব দেশের শিশু মৃত্যুর মধ্যে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু একটি অন্যতম বড় কারণ। সারা বিশ্বেই এক বছর থেকে চার বছরের শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে, তারপর পাঁচ থেকে নয় বছরের শিশুরা।

তিনি বলেন, ‘দেশে প্রতি লাখে এক থেকে চার বছর বয়সী ৭১ থেকে ৭২ শিশুর মৃত্যু হয়। আমাদের দেশে নদী, পুকুর, ডোবা-নালা, গবাদিপশুর জন্য জমিয়ে রাখার চারির পানি, শহরের বালতিতে জমিয়ে রাখা পানিও শিশু মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখা গেছে।’

২০১৬ সালের জরিপ অনুযায়ী প্রতিদিন বাংলাদেশে ১৮ বছরের নিচে ৪০ শিশু মারা যায় পানিতে ডুবে। অথচ এই বিষয়টি নিয়ে একেবারেই কোনও কথা শোনা যায় না। পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে ‘সিআইপিআরবি’ বেশ কিছু কাজ করা হচ্ছে বলেও জানায় সংস্থাটি। তারা জানায়, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে তারা আঁচল, ভাসা (ফ্লোটিং), সিসেফ নামের বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

অনুষ্ঠানে সদরুল হাসান মজুমদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- রয়েল ন্যাশনাল লাইফবোট ইন্সটিটিউশনের হেড অব ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম স্টিভ উইলস, সিআইপিআরবির নির্বাহী পরিচালক ড. এ কে এম ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ হেলথ রির্পোার্টাস ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা।