দেশে ফিরে কোয়ারেন্টিন মানছেন না সাকিব

আইসিসির দেওয়া নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ। ২৯ অক্টোবর ২০১৯ থেকে একবছর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় পোস্টার বয়। এক সপ্তাহ আগেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে, আর সাকিব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন গতকাল ভোররাতে।

স্বাভাবিকভাবেই দেশের ফেরার পর কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা ছিল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। কিন্তু দেশে ফেরার কয়েক ঘণ্টা পার না হতেই গুলশানে একটি সুপারশপ উদ্বোধন করতে গিয়েছেন সাকিব আল হাসান। দেশে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা এখনও কমেনি।

মাঝে কিছুটা কম থাকলেও বর্তমানে আরও বেড়েছে। এর মাঝেই শুক্রবার গুলশানের এক সুপারশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে সাকিবকে, তাকে ঘিরে সেখানে অনেক মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। আয়োজক আর উৎসুক জনতার ভীর সামলাতে হিমশিম খেতে হয় নিরাপত্তাকর্মীদের।

এমনকি রীতিমতো ভিড় ঠেলে কোনোরকমে উদ্বোধনী ফিতা কাটেন সাকিব আল হাসান। পরবর্তীতে আয়োজকদের অনুরোধে মুখের মাস্ক খোলা অবস্থায় দেখা যায় তাকে। অথচ বিদেশ থেকে কেউ আসলে নিয়ম অনুযায়ী দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন থাকার নির্দেশনা দেওয়া আছে।

নির্দেশিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাইরেক্টরেট জেনারেল (ডিজিএইচএস) ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, কেউ যদি দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনের সময়ে বাসা থেকে বের হন তাহলে তিনি কোয়ারেন্টিনের আইনভঙ্গ করবেন।

এসময় ডা. হাবিবুর রহমান আরও বলেন, যদি কোনো যাত্রী সাম্প্রতিক সময়ে নেগেটিভ পরীক্ষার প্রমাণ দেখায়, তাহলে আমরা তাদের ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারান্টিনে যেতে বলি। তবে যাত্রীরা যদি কোনো সার্টিফিকেট ছাড়াই পৌঁছায় তবে আমরা তাদের ১৪ দিনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনে পাঠাই।’

এদিকে বিদেশ থেকে ফিরে আসা প্রবাসীদের যথাযথ স্ক্রিনিং এবং কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য আবারও সময় এসেছে। যদিও আমাদের বিমানবন্দরে এখন যাত্রীদের স্ক্রিনিং করার জন্য সুসজ্জিত। তবুও বিদেশ থেকে আসার পরে কমপক্ষে ১০দিন হোম কোয়ারান্টিনে থাকা সে ব্যক্তির কর্তব্য।

অন্যান্য দেশে, কর্তৃপক্ষ বিদেশ থেকে আসা সমস্ত যাত্রীদের উপর একটি ট্র্যাকিং সফটওয়্যার ইনস্টল করে এবং তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বোর্ডের স্বাস্থ্য নির্দেশিকাতে সাকিব থাকবেন যখন বিসিবি মেডিকেল দলের সঙ্গে পরামর্শ করবেন, সে করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে দেশে ফিরেছে। এখনও বিসিবির মেডিকেল টিমের সাথে পরামর্শ করেনি। একবার তা করলে সে বিসিবির স্বাস্থ্য নির্দেশিকার আওতায় থাকবেন।