পূর্ব ঘৌটায় বিজয় ঘোষণা করতে যাচ্ছে সিরীয় বাহিনী

ই-বার্তা।।  সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কোর কাছাকাছি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটি পূর্ব ঘৌটা দেশটির সরকারি বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দুটিই ইতিমধ্যে আত্মসমর্পণ করেছে। পরিবার ও স্বজনদের নিয়ে কয়েক হাজার বিদ্রোহী এলাকাটি ছেড়ে চলে গেছেন।

কিন্তু দুমা শহর নিয়ন্ত্রণ করা তৃতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী জয়শ আল ইসলাম আত্মসমর্পণ করবে না বলে জানিয়েছে। তবে অঞ্চলটি খালি করে দেয়া নিয়ে সিরীয় মিত্র রুশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে একটি চুক্তি পৌঁছাতে তারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিমান হামলায় পূর্ব ঘৌটার অধিকাংশ এলাকা সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তবে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণ থেকে তিনটি অঞ্চল মুক্ত করতে দামেস্কো তাদের সঙ্গে চুক্তিতে একমত হয়েছে।

গত সপ্তাহে কট্টরপন্থী একটি গোষ্ঠী আত্মসমর্পণের পর পূর্ব ঘৌটা থেকে সর্বশেষ চলে যাওয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হচ্ছে ফাইয়াখ আর রহমান।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, শনিবার দিন শেষে ১৭টি বাসের একটি বহরে করে বিদ্রোহী ও বেসামরিক লোকজন মিলে ৯৮১ জন পূর্ব ঘৌটা ছেড়ে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইদলিবে চলে যান।

অবশিষ্ট বিদ্রোহীরা এলাকাটি ছাড়তে প্রস্তুত হওয়ার পর সিরিয়ার সেনাবাহিনী পূর্ব ঘৌটায় বিদ্রোহীদের শেষ ঘাঁটি দৌমায় বোমা হামলা চালানো বন্ধ করেছে। শুক্রবার মধ্যরাতের পর থেকে হামলা বন্ধ আছে বলে শনিবার জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।

বিদ্রোহীদের এই প্রধান শক্তিকেন্দ্রটিতে চার লাখ বাসিন্দা ছিল বলে এক মাস আগে জানিয়েছিল জাতিসংঘ। ওই সময় এলাকাটি পুনরুদ্ধার করতে যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও কামান নিয়ে ব্যাপক অভিযান শুরু করে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। এর পর থেকে সিরিয়ার যুদ্ধের সাত বছরের মধ্যে অন্যতম ব্যাপক বোমাবর্ষণে এক হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয় বলে ভাষ্য সিরিয়ান অভজারভেটরির।

এ সময় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষিপ্ত ব্যারেল বোমা, ক্লোরিন গ্যাস ও আগ্নেয় বোমায় বহু লোক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা ও অধিকার আন্দোলনকারী গোষ্ঠীগুলোর।

খবর ঃ  আল জাজিরা ও এএফপি।