বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য রনিকে অব্যহতি

ই-বার্তা ।।  বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য চট্টগ্রাম মহানগরের ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নুরুল আজম রনিকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এই তথ্য জানিয়েছেন।

তবে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নুরুল আজিম রনি নিজেই। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লেখা ওই ঘোষণাপত্রটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে পোস্ট করেছেন রনি নিজেই।

সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে আমি সজ্ঞানে অব্যাহতি নিলাম। একান্ত ব্যক্তিগত কারণে আমি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এমতাবস্থায় সংগঠনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাাদক জাকারিয়া দস্তগীর সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন। এ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতি আবেদন করছি। প্রাণের ছাত্রলীগ ভালো থেকো, স্বকীয়তা নিয়ে লড়াই করার সৎ সাহস রেখো। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

এর আগে অধ্যক্ষকে পেটানোর কেলেঙ্কারির রেশ কাটতে না কাটতেই প্রকাশ পেল চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির আরেক কেলেঙ্কারি। এবার তিনি পিটিয়েছেন চট্টগ্রামের এক কোচিং ব্যবসায়ীকে। ইতোমধ্যে বিষয়টি জানিয়ে কোচিং মালিক রাশেদ মিয়া পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ঘটনারও সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকার ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের অফিস কক্ষের প্রায় ৬ মিনিটের এই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্রথমে ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের মালিক রাশেদ মিয়াকে আঙুল তুলে শাসিয়ে টেবিল চাপরাচ্ছেন রনি। এক পর্যায়ে রাশেদের গালে থাপ্পড় মারতে দেখা যায় রনিকে। পরে চুল ধরে টানা-হেঁচড়া করে রাশেদের গালে কয়েকবার থাপ্পড় মারেন তিনি।

মাঝে মধ্যে চলতে থাকে তার ‘শাসন’। এভাবে প্রায় আড়াই মিনিট চলার পর রুম ছেড়ে বেরিয়ে যান রনি। কয়েক মুহূর্ত পরই আবারো ফিরে এসে গালমন্দ করতে থাকেন। এই মুহূর্তে তাকে দীর্ঘ সময় কারো সঙ্গে ফোনালাপে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।

পুরো ঘটনায় কোচিং মালিক রাশেদকে হাতজোড় করে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা গেছে।

এদিকে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় রনি দাবি করতেন ইউনিএইড কোচিং সেন্টারে তারও মালিকানা আছে।