‘বিদ্বেষ ও আক্রোশের রাজনীতির সূচনা করেছে বিএনপি’

ই- বার্তা ডেস্ক।।   আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন যে, দেশে বিদ্বেষ ও আক্রোশমূলক রাজনীতি শুরু বিএনপির হাতে।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএমএ মিলনায়তনে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

কাদের বলেন, পচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর খুনিদের বিদেশ যেতে সহযোগিতা করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। তিনি বিদেশি দূতাবাসে খুনিদের চাকরি দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়েছিলেন জিয়া।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঐক্যে ফাটল ধরাতে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে। সারাবিশ্ব মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ। এখন এই ঐক্যে ফাটল ধরাতে, রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে।

বিএনপির প্রতি উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এতে আপনারা কখনও সাড়া পাবেন না। এই ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য হয়ে আছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ যুদ্ধ করতে চায় না জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কি মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চান? আমরা যুদ্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চাই না। কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে, সূক্ষ্ম কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে।’

কূটনৈতিকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি দূতাবাসের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির নেতারা বৈঠক করেন। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারকে চাপ দিতে কূটনীতিকদের কাছে বিএনপি নেতাদের গত দুবছর কোনো কথা বলতে শুনিনি। এ সমস্যা নিয়ে কোনো দিন তারা কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।

‘এখন বলছে- সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গারা ফেরত যাচ্ছে না। সরকার সারাবিশ্বে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর বিদেশি চাপ অব্যাহত আছে, এই চাপ আরও বাড়বে’-যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। এতে বিএমএ নেতাসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।