ভবনে প্রচুর কেমিক্যাল ছিল, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল নাঃ তদন্ত কমিটি

ই-বার্তা ডেস্ক।।  পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ভবন ওয়াহেদ ম্যানশনে কোনো অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না।  ভবনে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল দ্রব্য ছিল।  ঘটনা তদন্তে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর এ তথ্য জানিয়েছে। 

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ওয়াহেদ ম্যানশনসহ আশপাশের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো পরিদর্শন করে ১১ সদস্যের তদন্ত দল।  পরে এক ব্রিফিংয়ে তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এসএম জুলফিকার রহমান বলেন, এই ভবনে আগুন নেভানোর জন্য কোনো ব্যবস্থাই ছিল না।  প্রচুর কেমিক্যাল ছিল, যে কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ওয়াহেদ ম্যানশন পরিদর্শন শেষে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এই ভবনে কেমিক্যালের কোনো গোডাউন ছিল না।  মন্ত্রীর বক্তব্য সঠিক নয় উল্লেখ করে তদন্ত দলের প্রধান বলেন, ওয়াহেদ ম্যানশনে অবশ্যই কেমিক্যাল ছিল।  এখানকার যে পাউডার, সেগুলো কেমিক্যাল।  এখানে যেসব প্লাস্টিকের বোতল পাওয়া গেছে, সেগুলোও থেকেও কেমিক্যালের নমুনা পাওয়া গেছে।

এর আগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ডিএসসিসি গঠিত ১১ সদস্যের তদন্ত দল চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ঘটনাস্থলে যায়।  ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিমকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটির গঠন করা হয় এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটির সদস্যদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী এ কমিটির নেতৃত্ব দেবেন। 

প্রসঙ্গত রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে।  ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ করে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।  এ ঘটনায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হন।

ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু