যে কারণে পালিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছেন সৌদি নারীরা

ই-বার্তা ডেস্ক।।   সৌদি থেকে এখন পালিয়ে ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছেন সৌদি নারীরা। তারা স্বাধীনভাবে নিজেকে মেলে ধরতে এসব দেশে পাড়ি দিয়ে আশ্রয় চাচ্ছেন। এর আগে সৌদি নারী রাহাফের ঘটনাটি বেশ আলোচিত হয়েছে। তিনি কানাডায় মদ, গাঁজা আর শূকরের মাংসে বুঁদ হয়ে থাকেন।

এ ছাড়া পোশাক-আশাকেও বেশ খোলামেলা এমন ছবি পোস্ট দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে। সৌদি থেকে প্রতি বছর শতাধিক নারী-পুরুষ পালিয়ে পশ্চিমা দেশ যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেয়।

পালিয়ে যাওয়া এসব নারীরা দাবি করছে, পারিবারিক নির্যাতনের কারণে তারা পালিয়ে যায় তবে নিপীড়নের ভয়ে দেশে ফিরে আসেন না। তাদের সবচেয়ে প্রিয় দেশ যুক্তরাজ্য সেখানে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ আশ্রয় চান।

তারা সেখানে গিয়ে মদ আর গাঁজায় বুঁদ হয়ে থাকেন। অনেকে ধর্ম ত্যাগ করে পশ্চিমাদের সঙ্গে তাল মেলান।

সৌদি আরবের অভিভাবকত্ব আইন অনুযায়ী নারীদের অবশ্যই পুরুষ আত্মীয়দের থেকে অনুমতি নিতে হয়। যেমন স্বামী, বাবা বা ছেলে। এদের অনুমতি নিয়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হয় ভ্রমণ অথবা বিয়ের জন্য।

বিপুলসংখ্যক সৌদি আরবের বাসিন্দা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় খুঁজছেন, যা রীতিমতো বাড়ছে। যেটি ২০১৪ সালে ছিল ১৮ এটি ২০১৭ সালে ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। যদিও তারা কখনো সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার কথা চিন্তাই করে না।

ই-বার্তা/ শফিকুল ইসলাম