শিশুর গায়ের রং কালো বলে তার শরীর পাথর দিয়ে ঘষে ক্ষত বিক্ষত করল মা!

ই-বার্তা ।।   ‘চাইল্ড হেল্প লাইন’ নামের একটি সংস্থা ৫ বছরের একটি ছোট্ট ছেলে শিশুকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।অভিযোগ, এই ছেলে শিশুটির গায়ের রং কালো বলে তার সারা শরীর পাথর দিয়ে ঘষে ক্ষত বিক্ষত করতেন মা।

 

প্রসঙ্গত, ছেলের শরীরের রং কালো৷ কিন্তু সেই শিশুটির মা তা কোনো মতে মেনে নিতে পারেননি। ছেলেকে যেভাবেই হোক ফর্সা করতেই হবে। তাই ছেলের শরীরের রং ফর্সা করতে কালো পাথর দিয়ে সারা গা ঘষে দিতেন মা৷ জানা যায়, প্রতিবেশীর কাছে বুদ্ধি নিয়ে শুরু হয় ৫ বছরের শিশুকে কালো পাথর ঘষে ফর্সা করার প্রয়াসে শিশুটি সঙ্গে এই নির্মম কাজটি করেন ওই নিষ্ঠুর মা। অবশেষে এক আত্মীয়ার উদ্যোগে গুরুতর জখম অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

 

ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালের নিশাতপুরা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে৷ খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই মায়ের নাম সুধা তিওয়ারী। তিনি নিশাতপুরার একটি স্কুলের শিক্ষিকা। দেড় বছর আগে ওই ছেলেটিকে উত্তরাখণ্ডের একটি অনাথ আশ্রম থেকে দত্তক নেন তিনি। তার স্বামী একটি বেসরকারি হাসপাতালের চাকরি করেন।

 

কিন্তু এই কালো ছেলে শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার পর থেকেই তার গায়ের রং নিয়ে খুশি ছিলেন না সুধা। তাই তিনি বিভিন্ন উপায়ে ছেলের গায়ের রং ফর্সা করার চেষ্টা চালাতে থাকেন। কিন্তু তাতে কোনো কাজই হয়নি। ব্যর্থ হয়ে একজনের পরামর্শ অনুযায়ী, কালো পাথর দিয়ে ছেলেটির শরীর ঘষতেন তিনি। এতে শরীর-হাত-পা কেটে গিয়ে কাঁদতো শিশুটি। কিন্তু তাতেও নিস্তার মেলেনি।

এই দৃশ্য দেখে আর সহ্য করতে পারেননি সুধা তিওয়ারীর ভাগ্নি শোভনা।তিনি বলেন, ‘আমি অনেকবার তাকে এই কাজ করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি আমার কথা শোনেননি। তাই বাধ্য হয়ে ‘চাইল্ড হেল্প লাইন’-এ ফোন করি।’ খবর পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে চাইল্ড হেল্প লাইনের কর্মীরা৷

 

জানা গেছে, পাথরের ঘষায় শিশুটির হাত, পা, পিঠের চামড়া উঠে গেছে। উদ্ধার করে শিশুটিকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

 

ই-বার্তা/ডেস্ক