শ্রীলংকা হত্যাকাণ্ড, নিহতের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৫৩ জন

ই-বার্তা।।  গত রোববার ইস্টার সানডেতে প্রার্থনার সময় শ্রীলংকার তিনটি মসজিদ ও তিনটি গির্জায় হামলায় নিহতদের সংখ্যা পুনর্বিবেচনা করলে ১০০ কমে গেছে। নিহতের সংখ্যা বেঠিক হওয়ার পেছনে আক্রান্ত শরীরের বিভিন্ন অংশ শনাক্ত নিয়ে জটিলতাকে দায়ী করা হয়েছে।

দেশটির উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী রাবন বিজয়াবধন বলেন, এতে নিহতের নতুন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৩ জন। আগে যেটি ধরা হয়েছিল ৩৫৯।

আরও শত শত মানুষ আহত হওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা। হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই শ্রীলংকান। তবে হতাহতদের মধ্যে অনেক বিদেশিও আছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

শ্রীলংকার স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক অনিল জাশিং বলেন, নিহতের সংখ্যা ২৫০ থেকে ২৬০ হতে পারে। সেখানে নিহতদের শরীরের অংশগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল, তা যথাযথভাবে শনাক্ত করতে জটিলতায় পড়তে হয়েছে।

এদিকে ইস্টার সানডের প্রার্থনায় ভয়াবহ বোমা হামলার পর নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতির আগ পর্যন্ত দেশটির সব খ্রিস্টান গির্জা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির এক জ্যেষ্ঠ পাদ্রি এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর পরামর্শে আমরা সব গির্জা বন্ধ রাখছি। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সব গণজমায়েত বন্ধ থাকবে।

এদিকে রাজধানীর কলম্বো থেকে ৪০ কিলোমিটার পূর্বে পুগোদা শহরে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।

পুলিশের মুখপাত্র রাবন গুনাসেকেরা বলেন, বৃহস্পতিবার শহরটির হাকিম আদালতের পেছনের খোলা মাঠ থেকে বিস্ফোরণের শব্দটি এসেছে।

এ বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হয়নি জানিয়ে পুলিশ বলেছে, তারা বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করে দেখছে। গুনাসেকেরা বলেন, আদালতের পেছনে একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে, আমরা তদন্ত করে দেখছি।

এটি পুলিশের ঘটানো কোনো নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ছিল না বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

ইস্টার সানডের প্রার্থনার সময় দেশটির তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে ছয়টি বিস্ফোরণে ৩৬০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ শতাধিক।

হামলায় সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করতে রাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গোয়েন্দা সতর্কতা সত্ত্বেও এ প্রাণঘাতী হামলা প্রতিরোধে বড় ধরনের ঘাটতির কথা স্বীকার করেছে দেশটির সরকার।