সমতার ভিত্তিতে সুবিচার নিশ্চিতে সরকার বদ্ধপরিকর: প্রধানমন্ত্রী

ই- বার্তা ডেস্ক ।।   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য সরকার আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করছে। তিনি বলেন, শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করে আইনের শাসন, মানবাধিকার ও সুবিচার সুনিশ্চিত করা আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য। একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও আধুনিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এসব কথা বলেন। এর আগে বিকাল সোয়া ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের মাঝে এই উপলব্ধি তৈরি করছে, আইনের চোখে সব নাগরিক সমান। কোনো অপরাধীই অপরাধ করে পার পাবে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে ৭৫ পরবর্তী সময়ে এ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক ও কলঙ্কিত দিন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় যে সব খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে বা আশ্রয় গ্রহণ করেছে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার সব প্রচেষ্টা অব্যাহত। আইনশৃঙ্খলায় সরকারের সাফল্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান সাফল্য হল- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা।

বর্তমান সময়ে মাদক সমস্যা সমাজের একটি বিষফোঁড়া। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। মাদক সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। মাদকের মামলার বিচার দ্রুত শেষ করার জন্য আমরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ প্রণয়ন করেছি। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতেও বর্তমানে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

সংসদ নেতা বলেন, সরকার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত অপরাধ বিচারের লক্ষ্যে ৯৫টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব–্যনাল গঠন করা হয়েছে, নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধসমূহের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে। এর প্রমাণ চাঞ্চল্যকর ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলা। মাত্র ৬২ কার্যদিবসে এ মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।