২১ কিশোরীকে ধর্ষণ, একজনকে হত্যার

ডেস্ক রিপোর্ট ।। ভারতের বিহারেরর মুজাফফরনগরে এক সরকারি আশ্রয়কেণ্দ্রে ২১ কিশোরীকে দিনের ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। ধর্ষিতাদের একজনের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে থাকা আরেক কিশোরী অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি না হওয়ায় পিটিয়ে মেরে লাশ মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এখন সেই আশ্রয়কেন্দ্রের মাটি খোড়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

 

এনডিটিভি বলছে, চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই বিহারের রাজ্য সরকারের কাছে অভিযোগ এসেছিলো আশ্রয়কেন্দ্রের কিশোরীদের ধর্ষিতা হওয়ার। বিহারের বিরোধী দলীয় নেতা তেজস্বী যাদব অভিযোগ করেন, এক্ষেত্রে নির্যাতিতাদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।তিনি বলেন, ‘মার্চ মাস থেকেই বিহার সরকার জানতো ওই যৌন নির্যাতনের কথা। মাসের পর মাস ৪০ কিশোরীকে বারবার ধর্ষণ করেছে আশ্রয়কেন্দ্রের কর্মী, স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং সরকারি কর্মকর্তারা। অনেকের জোরপূর্বক গর্ভপাতও করানো হয়েছে। এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, উল্টো ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলেছে।’

 

বিষয়টি প্রথমবারের মতো প্রকাশ পায় টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশাল সায়েন্স নামের স্থানীয় একটি এনজিও’র প্রতিবেদনে। ওই প্রতিবেদনের পর আনুষ।ঠানিকভাবে ধর।সণের মামলা নেয় পুলিশ। ডাক্তারি পরিক্ষার পর জুনে ২১ কিশোরীর ধর্ষণের প্রমাণ পায় তারা। সম্প্রতি এব্যাপারে বিহারের সমাজকল্যাণ অধিদফতরও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।এই মামলায় এরইমধ্যে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক পুলিশ অফিসারও গ্রেফতার হন।আশ্রয়কেন্দ্রের কিশোরীদের মুজাফফর নগর থেকে সরিয়ে মধুবনী, মোকামা ও পাটনার আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

 

 

ই-বার্তা ।। ডেস্ক