আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রায় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ

ই-বার্তা  ।।  স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘোষিত বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা। 

শোভা যাত্রায় অংশ নিতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে রাজপথে নামেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সজীব আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক  সাইদুর রহমান হৃদয়।  এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের অনন্যা নেতৃত্ববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে রাজধানীতে লাখো মানুষের স্রোতে নামিয়ে বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগরীর ১৫টি নির্বাচনী এলাকা, ৪১টি থানা এবং শতাধিক ওয়ার্ড থেকে অজ মিছিলের স্রোত এসে মিশেছিল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে। পুরো রাজধানীই পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে।  ৫০ বছর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যেস্থানে পাক হানাদাররা আত্মসমর্পণ করেছিল ঠিক সেই স্থানটির সামনে থেকেই শোভাযাত্রা শুরু করে আওয়ামী লীগ। বিজয় শোভাযাত্রা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়।  সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ারস ইন্সটিটিউটের সামনে রাস্তায় খোলা ট্রাকের উপর তৈরি মঞ্জে শোভাযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্নয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে দেশি-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিব বর্ষ উপলক্ষে এ কর্মসূচিতে নেমেছিল মুক্তিযুদ্ধেও চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের ঢল। ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি স্থান থেকে একযোগে বিজয় শোভাযাত্রা করে মিলিত হয় সোহরাওয়ার্দীর সামনে।  দুপুর ২ টার আগেই শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত জনসমুদ্রে পরিণত হয়।  বিজয় শোভাযাত্রায় হাতি, ঘোড়ার গাড়ি, নৌকা, ডামি রাইফেল, কামান, ট্যাঙ্কসহ মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের রণসজ্জা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় উল্লাসসহ বিভিন্ন ডামি প্রদর্শনী সাধারণ মানুষের বাড়তি মনযোগ আকর্ষণ করে। শোভাযাত্রায় থাকা বিভিন্ন ট্রাকে লাগানো মাইকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার এবং দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।

তলাবিহীন ঝুড়ির তকমাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন-সমৃদ্ধির অন্যতম দৃষ্টান্ত। সে কারণেই এবারের বিজয় শোভাযাত্রা অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ দলটির কাছে। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে আয়োজিত এ শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও বিজয়ের আমেজে অংশগ্রহণ করেন।