পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি আতঙ্কে ৮ মৃত্যু
ই-বার্তা ডেস্ক।। সম্ভাব্য নাগরিক তালিকায় নিজেদের নাম তোলা নিয়ে আতঙ্কে পশ্চিমবঙ্গে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এনআরসির জন্য নথি জোগাড় করতে গিয়ে না পেয়ে কেউ কেউ আত্মহত্যা করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভার নির্বাচনে জিতলে আসামের মতো এনআরসি করার ঘোষণা দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি। অন্যদিকে এনআরসি প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
আনন্দবাজার জানায়, এনআরসি আতঙ্কে উত্তর ২৪ পরগনায় আরও দুজনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে।
রবিবার সকালে গাছের ডাল থেকে বসিরহাটের সোলাদানার বাসিন্দা কামাল হোসেন মণ্ডলের (৩২) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, এনআরসি আতঙ্কেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার রাতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান শাসন থানার চক আমিনপুরের বাসিন্দা আয়েপ আলি (৫৫)। বাড়ির লোকজনের দাবি, ’৭১ সালের আগের নথি না পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি।
গত তিন দিনে এই নিয়ে এনআরসি আতঙ্কে শুধু বসিরহাটেই এক নারীসহ মোট তিনজনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। উত্তর ২৪ পরগনায় এনিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা চার। সব মিলিয়ে এনআরসি আতঙ্কে রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটজনে।
পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘মৃত্যুর ঘটনা মর্মান্তিক। বিজেপির এনআরসি নিয়ে প্রচারণার কারণে মানুষ আতঙ্কে ভুগছেন।’
তিনি বলেন, ‘নথি জমা দেওয়ার ভিড়ের কারণে সরকারি দপ্তরের কর্মীদের রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে। ভিড় ঠেকাতে গিয়ে দপ্তরের কাজ বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আমরা মানুষের পাশে আছি।’
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও হুগলির চুঁচুড়ায় এনআরসি নিয়ে দলীয় কর্মীদের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এনআরসি নিয়ে তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেসের বিরোধিতার পাল্টা প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সরসংঘচালক মোহন ভাগবত।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু