অস্ত্রের মুখে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে মিয়ানমার সরকার

ই-বার্তা ডেস্ক।।  রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিক হওয়ার সুযোগ কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি মিয়ানমার সরকার অস্ত্রের মুখে বিদেশি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ পরিচয়পত্র নিতে তাদের বাধ্য করছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।  

ফর্টিফাইভ গ্রুপ নামে মানবাধিকার রক্ষায় কর্মরত একটি গোষ্ঠীকে উল্লেখ করে গত মঙ্গলবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড (এনভিসি) নামে এই পরিচয়পত্র বলপূর্বক গছিয়ে দেওয়ার চেষ্টার খবর এর মধ্যেই রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আচরণের জন্য বিশ্বজুড়ে নিন্দিত মিয়ানামার নিয়ে উদ্বেগ বাড়াবে। ওই মানবাধিকার গোষ্ঠীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথিউ স্মিথ বলেন, ‘কার্যকরভাবে মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার একটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করার চেষ্টায় লিপ্ত।’ 

ফর্টিফাই গ্রুপ বলছে, রোহিঙ্গাদের কার্যকরভাবে ‘বিদেশি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে– এনভিসি নামে এমন পরিচয়পত্র নিতে রোহিঙ্গাদের বাধ্য করছে মিয়ানমার সরকার। ‘মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছিল এবং এনভিসি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের অজুহাত দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধও আরোপ করেছিল।’

বৌদ্ধপ্রধান মিয়ানমারের সরকার প্রতিবেশী ‘বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ’ বলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু অনেক রোহিঙ্গাই বলছেন, পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকশ বছর থেকে তাদের পূর্বপুরুষরা বাস করছেন। 

জঙ্গি হামলার পর চালানো সামরিক অভিযানে বর্বর নিপীড়নের মুখে ২০১৭ সালে ৭ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে রাখাইন রাজ্য ব্যাপকভাবে বিশ্ববাসীর নজরে আসে।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু