কেউ সংসদে গেলে ঐক্যফ্রন্টের কোন ক্ষতি হবে না

ই-বার্তা ডেস্কঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ বলেছেন, কেউ যদি সংসদে যায় তাহলে ঐক্যফ্রন্টের কোন ক্ষতি হবে না। জোটের দুই প্রার্থী যদি দলীয় সিধান্তের বাইরে গিয়ে সংসদে যাওয়ার জন্য শপথ গ্রহণ করে তাহলে বিধি অনুযায়ী ঐক্যফ্রন্ট তাদের ব্যাপারে সিধান্ত নেবে। রবিবার (৩ মার্চ) জিয়ার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ছিল, আমরা যেহেতু এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছি অতএব বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের যারা নির্বাচিত হয়েছেন আমাদের কেউ সংসদে যাবে না। এটা বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ছিল। এখন ঐক্যফ্রন্টের দুইজন সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমাদের জানা মতে ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত না যাওয়ার পক্ষে। এটা নিয়ে আমাদের কোনো মতামত নেই। গণফোরাম তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

গণফোরামের দুই প্রার্থী শপথ নিলে বিএনপিতে কোনো টানাপোড়েন হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এত আগে বলা যাবে না। আমরা একটা বড় টার্গেট করে ঐক্যফ্রন্ট করেছি। অতএব এ ব্যাপারে আমি বিশ্বাস করি যদি কেউ সংসদে যায় ঐক্যফ্রন্টের কোনো ক্ষতি হবে না।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, গ্যাসের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে সরকার যে অবস্থায় রেখেছে, আবার যদি বৃদ্ধি করে তাহলে এটা মরার ওপর খাড়ার ঘা হবে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

মোশাররফ বলেন, আগামী ৫ মে উপজেলা নির্বাচনে হবে। আমরা শুনতে পাচ্ছি এখানে নির্বাচন কমিশন ৯ কোটি টাকা উপরে বাজেট করেছে। এর আগে উপজেলা নির্বাচনে চার কোটি টাকার উপরে বাজেট ছিল। আমরা বলতে চাই একাদশ জাতীয় নির্বাচন দেখে জনগণের ভোটের প্রতি যে অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে জনগণ আর এই সরকারের প্রতি আস্থা রাখে না। তাই বিএনপি এই নির্বাচনকে বয়কট করেছে।

তিনি আরও  বলেন, যেহেতু নৌকা ছাড়া কোনো প্রার্থী নেই সেহেতু নৌকার প্রার্থীকে ঘোষণা করে দিলেই নির্বাচনের নাটক শেষ হয়ে যায়। নৌকায় যারা নমিনেশন পাবে তারাই নির্বাচিত। এখানে তো ভোটের প্রয়োজন হয় না। তাই আমি মনে করি নতুন করে জনগণের ৯ কোটি টাকা খরচ করার প্রয়োজন নেই। তাই জনগণের এই টাকা অযথা ব্যয় না করবার জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানাবো।

এর আগে দুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নবগঠিত আহবায়ক কমিটি গঠন উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করেন।   

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম আহ্বায়ক তকদির হোসেন মো. জসিম, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, আলহাজ মো. নাজিমুদ্দিন মাস্টার, সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, কৃষক দলের সদস্য জিয়াউল হায়দার পলাশ, এস কে সাদী, মো. মাইনুল ইসলাম, নাসির হাজারী, হাজী সাখাওয়াত হোসেন নান্নু, মো. আলিম হোসেন, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, এম জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।

ই-বার্তা// আরাফাত ইসলাম শুভ