কোন প্রশ্নই আসে না নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার : মির্জা ফখরুল

ই-বার্তা।।  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আগামী নির্বাচন আয়োজনে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের বাধ্য করা হবে।

৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে চীনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ সব কথা বলেন তিনি।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপিকে নাকে খত দিয়ে আগামী নির্বাচনে আসতে হবে। এবার আর নির্বাচনে না আসার ভুল বিএনপি করবেনা। আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।

এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পুরোপুরি রাজনৈতিক দলের অধিকার নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া। নির্বাচন কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। নির্বাচন করা সাংবিধানিক অধিকার। নির্বাচন যোগ দেওয়া, না দেওয়া এটাও একটি রাজনৈতিক দলের অধিকারের মধ্যেই পড়ে।তিনি আর বলেন, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন শুধু বিএনপির কথা নয়, সারা দেশের জনগণের কথা।

নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কোনো উদ্যোগ নেবেন না বলে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা তার দায়। নির্বাচনের একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা, সব দলগুলোকে নিয়ে আসা- এর দায় যিনি সরকারপ্রধান, তার দায়। কারণ নির্বাচন করবেন কী করবেন না, নির্বাচন হবে কী, হবে না এটার দায়দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে।’

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে যেন এখানে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া সম্ভব হয়, জনগণের অধিকার যেন প্রতিষ্ঠিত হয় সেটাই বিএনপি চায়। প্রধানমন্ত্রী যদি দায়িত্বশীল ব্যক্তি হন, তবে তাকে অবশ্যই এই দিকেই চিন্তা করতে হবে। এই মাত্রাতেই চিন্তা করতে হবে, জনগণের মনের আশা-আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে। সেভাবেই তাকে কাজ করতে হবে।

বিএনপি সংঘাত চায় না দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংঘাত চাই না। আমরা অস্থিতিশীলতা চাই না। এবারের নির্বাচনে যেন সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যতের ক্ষমতা পালাবদলের একটি শান্তিময় উপায় হয়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। এখন এই ঔদ্ধত্য ও দাম্ভিকতা, এটা দিয়ে ভবিষ্যতে দেশ শাসন চলবে না। দেশকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া যাবে না।