চার বছর ধরে মর্গে পড়ে আছে সেই লাইজুর লাশ!

ই-বার্তা ।।  ভালোবেসে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে এরপরে পারিবারিক ঝামেলার কারনে দুজনেরই আত্মহত্যা। পরবর্তীতে মরদেহ পেতে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা। আর এই জটিলতায় চার বছর ধরে মর্গে পড়ে আছে নীলফামারীর হোসনে আরা লাইজুর (নিপা রানীর) মরদেহ।

সম্প্রতি তার মরদেহ ইসলাম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে সেই রায়ের কপি এখনও নীলফামারী না পৌঁছানোয় তার মরদেহ দাফনে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না নীলফামারীর জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এ বিষয়ে নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মো: নাহিদ হাসান জানান, আমরা এখনও আদেশ পাইনি। আদালতের আদেশ পেলেই মরদেহ দাফনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তবে হোসনে আরার শ্বশুড় জহুরুল মেম্বার বলেন, গত ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিয়েছি কিন্তু আমাদেরকে জানানো হয়েছে হাইকোর্টের আদেশের মূল অনুলিপি পাওয়ার পর তারা মরদেহ দাফনে পদক্ষেপ নেবেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ভালোবেসে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেন নিপা-লাজু। এভাবেই কাটছিল লাজু ও নিপার দিন। কিন্তু বাধঁসাধে নিপার পরিবার। নিপা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় লাজুর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করে নিপার পরিবার। নিপাকে রাখা হয় নিরাপত্তা হেফাজতে। পরে নিপাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেয় তার পরিবার। কিছুদিন পর লাজু বিষ খেয়ে মারা যান। স্বামীর মৃত্যু ৫৫ দিন পর নিপাও শোকে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন।

এরপর নিপার মরদেহ দাবি করে আদালতে মামলা করে দু’পক্ষই। আইনি দ্বন্দ্বে ২০১৪ সালের ১০ মার্চ থেকে হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে নিপা রানীর মরদেহ। এ মামলাটি নিম্ন আদালত ঘুরে উচ্চ আদালতে আসে। অবশেষে উচ্চ আদালতে সিদ্ধান্ত হয় হোসনে আরার মরদেহ ইসলাম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফন করার।