পুরো শিক্ষক সম্প্রদায়ের নৈতিকতার মানদণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে ডাকসু নির্বাচন

ই-বার্তা ডেস্ক।।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ  নির্বাচন শেষে পর্যবেক্ষণকারী ৮ শিক্ষক বলেছেন, নির্বাচন  সুষ্ঠু হয়নি।  সোমবার এক বিবৃতিতে তারা এ তথ্য জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, আজ (সোমবার) ১১ মার্চ বহুল আলোচিত, আকাংক্ষিত ঐতিহাসিক ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।  আমরা কয়েকজন শিক্ষক নিজ উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবামূলক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার ইচ্ছাপোষন করলে আমাদের অনুমতি দেওয়া হয় আমরা সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিভিন্ন  হল পরিদর্শন করি।

আমরা কুয়েত মৈত্রী হল থেকে পর্যবেক্ষণ শুরু করি।  কারণ, আমরা শুরুতেই জানতে পারি এ হলে ভোটদানে অনিয়মের কথা।  এ ঘটনায় প্রভোস্টের সাথে যোগাযোগ করতে সমর্থ না হলেও আমরা রিটার্নিং অফিসারদের লজ্জিত ও মর্মাহত দেখতে পাই।  একপর্যায়ে রোকেয়া হলে গোলযোগের খবর পাই।  সেখানে গিয়েও  অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনার সাক্ষী হই য়, যার নিন্দা জানাই আমরা।

ছাত্রদের হলের ভেতরে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়।  তবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে অনেক  কতগুলো অনিয়ম চোখে পড়ে।  একটি বড় অসঙ্গতি মনে হয়েছে,  ৪৩ হাজার ভোটারের একটি নির্বাচনের ব্যালট পেপারে সিরিয়াল নম্বর না থাকা যা আমাদের কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে। কারণ এতে নির্বাচনের ফলাফলে গুরুতর অনিয়ম ঘটানো অনেক সহজ।

পরিশেষে আমরা এটাই বলতে চাই এই বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচনের অনিয়মের ঘটনাগুলো আমাদের খুবই লজ্জিত করেছে।  এ ঘটনা ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।  এই ব্যর্থতার দায়ভার প্রশাসন থেকে শুরু করে পুরো শিক্ষক সম্প্রদায়ের নৈতিকতার মানদণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।  সেই সাথে আমরা চাই এই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে অবিলম্বে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হোক।

বিবৃতিদাতা শিক্ষকরা হলেন- গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ; কামরুল হাসান, অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ; ফাহমিদুল হক, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ; মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, সহযোগী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ; রুশাদ ফরিদী, সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ; কাজী মারুফুল ইসলাম, অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ; তাহমিনা খানম, সহকারী অধ্যাপক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও অতনু রব্বানী, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ।

ই-বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ