মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি

ই-বার্তা ডেস্ক।।  অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।  এছাড়া চট্টগ্রাম ৯ ও কক্সবাজার ৪ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।   

‘বুলবুল’ আজ শনিবার সন্ধ্যার পর বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদফতর। এসময় ৭ ফুট পর্যন্ত জলচ্ছ্বাসের আশংকা করা হচ্ছে। 

আবহাওয়ার এক বিশেষ বুলেটিনে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরেও ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ থেকে এটি এখন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শনিবার সকাল পর্যন্ত মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।  ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়ার আকারে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।  ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫শ’ থেকে ৭’শ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে এগিয়ে আসতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১শ’ কিলোমিটার যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুলবুলের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি ও ঢাকাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।  এটি বাংলাদেশ অংশে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া এবং ভারতে সাগরদ্বীপের মাঝখানে আছড়ে পড়তে পারে।

এ এলাকায় উভয় দেশের সুন্দরবন অবস্থিত। ফলে ‘সিডরের’ মতো এবারের ঘূর্ণিঝড়টিও সুন্দরবনের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু ‘বুলবুল’ দিক বদলাচ্ছে।  বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান জানান, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যার পর থেকে মাঝরাতের মধ্যে বাংলাদেশের খুলনা-বরিশাল অঞ্চলের ওপর আঘাত হানতে পারে।

এর একটি অংশ ভারতের সুন্দরবন পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। তবে উপকূলে আঘাত হানার আগে কিছুটা দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু