যৌথভাবে কর্মসূচি পালন করবে না ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

ই-বার্তা ডেস্ক।।  এখন থেকে যৌথভাবে কোনো কর্মসূচি পালন  না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকটি জেলার জনসভায় জামায়াতে ইসলামী ছাড়া ২০ দলের অন্য শরিকরা অংশ নিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর জামায়াত ইস্যুতে ঐক্যফ্রন্টে থাকা গণফোরাম তাদের আপত্তির কথা স্পষ্ট জানিয়েছে। তাই ভবিষ্যতে যে কোনো ইস্যুতে আলাদা কর্মসূচি পালনে এ সিদ্ধান্ত দুই জোটের। ঐক্য টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্তে রাজি গণফোরামও।

৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাভোগের এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে । এ উপলক্ষে তার মুক্তির দাবিতে আলাদাভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বিএনপিসহ দুই জোট।
এ ছাড়া এইদিন প্রথমবারের মতো ঐক্যফ্রন্ট নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতিও চাইবেন। বিএনপি ও দুই জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এসব তথ্য।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গনমাধ্যমে বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি দেশমাতা খালেদা জিয়ার কারাভোগের এক বছর হবে। আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত আছে, আগামী দিনেও থাকবে।

২০-দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়কারী এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, কর্মসূচির বিষয়ে ২০-দলীয় জোটে এখন পর্যন্ত কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি। ঐক্যফ্রন্ট পৃথক একটি সত্তা। ২০ দল পৃথক জোট। ঐক্যফ্রন্টের প্রোগ্রামের সঙ্গে আমাদেরটা এক হবে না।

খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়ার পর থেকে দলটি তার মুক্তির জন্য মানববন্ধন, কালো পতাকা প্রদর্শন, অবস্থান, অনশন, স্মারকলিপি দেয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিল। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এ ধরনের কর্মসূচি থেকে অনেকটা বিরত থাকে দলটি। ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার কারাভোগের এক বছর পূর্ণ হবে।

তার মুক্তির দাবিতে ফের কর্মসূচি দেবে দলটি। তবে বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি নেই বলে জানা গেছে। পোস্টার, আলোচনাসভা, গরিব-দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করবে দলটি। একই ইস্যুতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবে বলে জানা গেছে।

ই-বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম