রোহিঙ্গাদের চোখে স্বপ্ন, খেলতে চায় বিশ্বকাপ ফুটবল

ই-বার্তা।।  পেটে ভাত নেই। দিন ফুরালে রাতে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই।নিজেদের কোনো দেশ নেই। সেই রোহিঙ্গারাই বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখছে ।

মালয়েশিয়ায় আশ্রয় পাওয়া কয়েক হাজার রোহিঙ্গার চোখে এখন এই স্বপ্ন। ‘রোহিঙ্গা ফুটবল দল’ই একদিন বিশ্বকাপে খেলবে। সারাবিশ্বে রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি এনে দেবে।

রোহিঙ্গাদের কাছে ফুটবল খুবই জনপ্রিয়। মালয়েশিয়াজুড়ে তাদের ৫০টি ফুটবল দল রয়েছে। দলগুলো প্রায়ই নিজেদের মধ্যে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে থাকে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন ফুটবলার বিশেষ নৈপুন্য দেখিয়েছেন।

বিশ্বের নামকরা ক্লাবগুলো থেকে ডাকও পেয়েছেন কেউ কেউ। এখন ফুটবলের বিশ্ব আসরেও খেলতে চায় দলগুলো। ২০২০ সালে রাষ্ট্রহীন মানুষদের বিশ্বকাপ ‘কনিফা কাপে’ অংশ নেবে তাদের একটি দল। সহযোগিতা ও সুযোগ পেলে তারা যে ভালো কিছু করে দেখাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের দৌলতে ফুটবল শব্দটি যখন পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের ঠোঁটের ডগায়, ঠিক তখন রাজধানী কুয়ালালামপুরে ফুটবল উৎসবে মাতে রোহিঙ্গা ফুটবল দলগুলো।

গত মাসে মুসলিমদের প্রধান উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক ফুটবল টুর্নামেন্ট। ‘রিফুজি ফেস্ট’ নামের এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয় ৯টি দল।

টুর্নামেন্টের আয়োজকরা বলেন, খেলাধুলা হচ্ছে রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছে দেয়া অহিংসামূলক উপায়। এটা শরণার্থীদের পরিচয় ও আত্মসম্মান বাড়ানোর উপায়। মালয়েশিয়ায় প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। ২০-৩০ বছর ধরে তারা শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছেন।

এদের মধ্যে ৬২ হাজার রোহিঙ্গা জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের নিবন্ধিত। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রয়েছে আরও প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার। শরণার্থী হিসেবে রোহিঙ্গাদেরকে গ্রহণ করলেও তাদেরকে বৈধ কাগজপত্র দেয়নি মালয়েশিয়া সরকার। কাজের অনুমতি না থাকায় সস্তায় শ্রম দিতে হয় তাদের।

খবর এএফপির।